নিজস্ব প্রতিবেদন: এবছর শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না বসন্তোসব। UGC-র নির্দেশিকায় বন্ধ এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। কারণ, করোনা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। গতকালই পৌছেছে খবরটা। আর তারপর থেকেই থমথমে গোটা সঙ্গীত ভবন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়া। বিশ্বভারতীর এহেন সিদ্ধান্তে না-খুশ দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়,''বছরে একবারই তো দোল হয়।''  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিমূল আর পলাশ দিয়ে শান্তিনিকেতনকে সাজিয়ে ফেলেছে প্রকৃতি। কারণ বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। সোমবারই তো রাঙিয়ে দিয়ে যাওয়ার দিন। তাই প্রায় দেড়মাস ধরে চলছিল প্রস্তুতি। গমগম করল সঙ্গীত ভবন। কিন্তু, শুক্রবারই হল ছন্দপতন। করোনা আতঙ্কের জের। খোদ দিল্লি থেকে এসেছে নির্দেশিকা। ঝুঁকি না নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই নোটিস জারি করে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও। তারপর থেকেই সঙ্গীত ভবন থেকে আর ভেসে আসছে না ওরে গৃহবাসীর সুর। বরং কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেক পড়ুয়া। তবে, করোনা আতঙ্কও পুরোপুরি  দূরে সরিয়ে রাখতে পারছেন না ছাত্রছাত্রী বা আশ্রমিকরা।


বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্তে অবশ্য খুশি নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়,''শান্তিনিকতনে বহু লোকের সমাগম হয়। আমার মনে হয় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলেই হতো। রোজ রোজ তো আর দোল হয় না। এতে আরও ভীতি ছড়াবে। তার চেয়ে জনজীবন স্বাভাবিক রাখা উচিত ছিল।''


রবীন্দ্রভারতী-বিতর্কেও সকলে মিলে অধঃপতন ঠেকানোর বার্তা দেন দিলীপবাবু। বলেন,''এতদিন সমর্থন এগুলো অনেকে সমর্থন করে এসেছেন। অশ্লীলতা, বেলেল্লাপনা স্কুল কলেজে দেখেছি বিরোধিতা করা হয়নি। ভবিষ্যত প্রজন্ম কোথায় যাচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে। সংস্কৃতির বাংলায় কয়েকজন বিকৃত রুচির মানুষ নয়, বরং সম্মিলিতভাবে করা হচ্ছে, এটা চিন্তার বিষয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দায়িত্বশীল মন্ত্রী। উনি বিষয়টি দেখবেন আশা করি।'' 


আপাতত বাতিল। তাহলে কি দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকা বসন্তকে কি আবাহন জানানো হবে না শান্তিনিকেতনে? এখনও আশা ছাড়ছেন না পড়ুয়ারা। অন্য কোনও দিন হতেও পারে অনুষ্ঠান। 


আরও পড়ুন- খুনের মামলায় খুঁজছে পুলিস, সেই বিমল গুরং আমন্ত্রিত নাড্ডার ছেলের বিয়েতে