`রাজ্যপালের সঙ্গে সরকার-বিরোধী, কারও সংঘাত বাঞ্ছনীয় নয়`, বিতর্কে জল ঢাললেন দিলীপ
`স্বপন দাসগুপ্তের কথা আমি শুনিনি। ওগুলো দেখার জন্য আমাদের দিল্লিতে লোক আছেন। ওখানে আমরা সরকারি পার্টি। রাজ্যপালকে যারা দিল্লি থেকে এখানে পাঠিয়েছেন, তাঁরা দেখে নেবেন। আমার মনে হয় না এই পদ নিয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি করা উচিৎ।`
অয়ন ঘোষাল: রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা স্বপন দাসগুপ্ত। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি-রাজ্যপাল কোনও সংঘাতে জড়িয়েছে কিনা, জিজ্ঞাসা করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'রাজ্যপাল কে হল, তার উপর যদি কেউ কমফর্ট বা আন-কমফর্ট ফিল করে, তাহলে তার রাজনীতি ঢিলে হয়ে যাবে। রাজনীতিককে তাঁর নিজস্ব জায়গা তৈরি করতে হবে। সরকারের ভুল ধরতে হবে। লড়াইটা সরকারের সঙ্গে হবে। রাজ্যপালের সঙ্গে সরকার বা বিরোধী, কারোর সংঘাত বাঞ্ছনীয় নয়। এটি সাংবিধানিক পদ। যাঁরা বসেন, তাঁরা যোগ্য ব্যক্তি। দাবি থাকতেই পারে। জানানো উচিৎ।' দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'স্বপন দাসগুপ্তের কথা আমি শুনিনি। ওগুলো দেখার জন্য আমাদের দিল্লিতে লোক আছেন। ওখানে আমরা সরকারি পার্টি। রাজ্যপালকে যারা দিল্লি থেকে এখানে পাঠিয়েছেন, তাঁরা দেখে নেবেন। আমার মনে হয় না এই পদ নিয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি করা উচিৎ।'
প্রসঙ্গত, জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষতকারে বিজেপি নেতা স্বপন দাসগুপ্ত তোপ দাগেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর একটা সম্পর্ক থাকা উচিত। পাশাপাশি সাংবিধানিক প্রধানের একটা নিরপেক্ষতাও থাকা উচিত। কিন্তু দেখতে হবে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ওই সম্পর্ক কতটা প্রাসঙ্গিক। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বাংলায় হাতেখড়ি নেবেন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। যে প্রসঙ্গে স্বপন দাসগুপ্ত বলেন, এটার মধ্যে একটা রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। বার্তাটা হল, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাক্ষেত্রে সবই যেন ঠিক আছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রটা ঠিক নেই। গোটা শিক্ষা দফতরটা এখন প্রায় জেলে। এরকম একটা সময়ে হাতেখড়ি নেওয়াটা একটা দেখনদারি বলে মনে হচ্ছে। এটা একটা স্টান্ট। এই স্টান্টের মধ্যে রাজ্যপালের পড়া উচিত নয়। উনি এখানে একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন।
এছাড়া চিনি আরও বলেন, রাজ্যপাল মনে হয় ভালো সম্পর্ক রাখতে গিয়ে অতি ভালো সম্পর্ক রেখে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে ওঁর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব তা পার করে গিয়েছেন। রাজভবনে যখন অনুষ্ঠান হচ্ছে তখন বিরোধী দলের নেতাকে অপমান করা হচ্ছে। তাঁকে পেছনের দিকের একটা সিট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজভবন কি এখন তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন তিনি। রাজ্য-রাজভবন ঘনিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যপালকে বিঁধে স্বপন দাসগুপ্ত বলেন, আপনি এত ঘনিষ্ঠতা দেখাচ্ছেন যে রাজভবন ও তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসটা যে আলাদা, সেই তফাতটা কি মাঝে মাঝে চলে যাচ্ছে? আগে অনেক সময় অভিযোগ আসতে যে এই রাজ্যে রাজভবনটা বিজেপির অফিস। এখন আমরা ঠিক উল্টোটা দেখছি এখানে। প্রাদেশিক দল আর রাজ্যপালের অফিসটা কি একসঙ্গে মিলে গিয়েছে? প্রশ্ন ছোঁড়েন তিনি।
আরও পড়ুন, Jago Bangla: 'জেরক্স মেশিন' বিতর্কে জাগোবাংলায় তৃণমূলের আক্রমণের মুখে বিজেপি নেতা স্বপন দাসগুপ্ত