নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতার মহানাগরিক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ফিরহাদ হাকিমকে অভিনন্দন জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তবে প্রথমে অভিনন্দন জানালেও, সাংবাদিক বৈঠকে তারপরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, "আইন সংশোধন করে বাইরে থেকে কেন লোক আনতে হল? এত কাউন্সিলর থাকতে তাঁদের মধ্যে লোক পাওয়া গেল না? এরা কি সব অযোগ্য?" এরপরই তাঁর সাফ মন্তব্য, "যোগ্য তো সুব্রত মুখার্জি ছিলেন। তাঁকে মেয়র করা হয়নি। তাহলেই বোঝা যাচ্ছে ডালমে কুছ কালা হ্যায়।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, "দল চাইলে কাউন্সিলর হিসেবেও পদত্যাগ করতে রাজি", বিস্ফোরক শোভন


বুধবার সারাদিন ধরে জল্পনা চললেও, গতকাল কলকাতার মহানাগরিক হিসেবে ইস্তফা দেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন সকালে নিরাপত্তারক্ষীর হাত দিয়ে এক লাইনের পদত্যাগপত্র কলকাতা পুরসভার চেয়ারাপার্সন মালা রায়ের কাছে পাঠান শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে তখন বিধানসভায় পুরনিগম আইনে সংশোধনী পেশ করছেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার ভাবী মেয়র ফিরহাদ হাকিম।


সংশোধনীতে বলা হয়, কাউন্সিলর নন এমন কেউ পুরসভার মেয়র হতে পারেন। তবে তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে কাউন্সিলর হিসেবে জিতে আসতে হবে। প্রসঙ্গত, ফিরহাদ হাকিমকে মেয়র হিসেবে নির্বাচন করার জন্য এই সংশোধনী ছিল অত্যন্ত জরুরি। বিধানসভাতে পাশও হয়ে যায় সেই সংশোধনী।


আরও পড়ুন,"ও ভালো থাকুক", বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শোভনকে 'শুভেচ্ছা' মুখ্যমন্ত্রীর


সেইসময় বিধানসভাতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই একই প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জানতে চান, এমন কি প্রয়োজন পড়ল যে আইন সংশোধন করে নতুন মেয়র আনতে হচ্ছে? বিরোধী শিবিরের দলনেতার প্রশ্নের উত্তরে তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দলের ১২২ জনের মেয়র হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু একটা সিস্টেম রয়েছে। ব্যক্তিগত কিছু অসুবিধার জন্য মেয়র পদে শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দিয়েছেন। পরবর্তী মেয়র হিসেবে তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে, যে কর্পোরেশনটা চেনে, জানে, বোঝে। দীর্ঘদিন পুরসভার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যিনি ইতিমধ্যেই জনপ্রতিনিধি, আগেও কাউন্সিলর ছিলেন, তাঁকেই পরবর্তী মেয়র করা হবে।"