নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করার জন্য এবার বিরোধীদের উদ্দেশে 'লাশ গোনার' হুমকি দিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন বঙ্গ বিজেপির বিশেষ বৈঠক থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি হুঁশিয়ারি দেন, "বিরোধীদের বলছি, সারা দেশে লাশ গুনতে হবে আপনাদের।" এখানেই না থেমে দিলীপ ঘোষ তারপর আরও বলেন "যেখানে যেখানে আমাদের দলের সরকার আছে, সেখানে আন্দোলনের নামে সমাজবিরোধীমূলক কাজ চলছে। এখন সমাজবিরোধীদের যেভাবে শায়েস্তা করা দরকার, সেইভাবেই শায়েস্তা করা হচ্ছে।" বিজেপি রাজ্য সভাপতির এই বক্তব্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখ। বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, এনআরসি-সিএএ বিরোধিতায় মিছিল করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যখন সিএবি-র উপর ভোটাভুটি হল, তখন তৃণমূলের ৮ জন সাংসদ কোথায় ছিলেন? কেন তাঁরা বিল পাসের সময় সংসদে ছিলেন না? প্রশ্ন তোলেন তিনি। তোপ দাগেন,"একসময় লোকসভায় স্পিকারকে কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন, আর তিনি-ই আজ উল্টোকথা বলছেন!"


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'আসল চরিত্র' সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য বৈঠক থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে নির্দেশ দেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, "মমতার আসল চরিত্র প্রকাশ করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভেদ সৃষ্টি করেন। আগে ছিল অটলজি ভালো, আদবানিজি খারাপ! পরে আদবানিজি ভালো, মোদী খারাপ! এখন মোদী ভালো, অমিত শাহ খারাপ! মুখ্যমন্ত্রীর এই দ্বিচারী রাজনীতি মানুষের কাছে তুলে ধরুন।" এদিনের বৈঠক থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও তোপ দাগেন, "সিএএ নিয়ে কোনও বিতর্ক হচ্ছে না। বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। সংবিধান আক্রান্ত হচ্ছে। এনআরসি কোথায় হবে, কখন হবে, তার ঠিক নেই। কিন্তু বিরোধীরা এই নিয়ে হইচই করছে।"


আরও পড়ুন, দেশের টাকা বরবাদ করছেন, ইরফান হাবিরের লেখা ইতিহাস কেউ পড়ে না : দিলীপ


"কায়দা করে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য রাজ্যে গিয়ে টাকা দিয়ে আসছেন", বলেও এদিনের বৈঠকে সোচ্চার হন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, গতকাল ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পথে শপথ নেন হেমন্ত সোরেন। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে গতকালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে 'ঝাড়খণ্ড সার্কাস' বলে উল্লেখ করেন দিলীপ ঘোষ। কটাক্ষ করেন, "বিরোধিতার নাম করে সবাই একলাইনে দাঁড়াল। লোকসভার আগে এরাই এসেছে। মানুষ বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। দিদিমণির ট্র্যাক রেকর্ড ভালো নয়। যে সরকারের দিকে দৃষ্টি দেয়, সেই সরকার আর বেশিদিন থাকে না।"