অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রথযাত্রা নিয়ে রফাসূত্র খুঁজতে প্রশাসনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার ও প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু বৈঠকের আগে বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে তালিকা চেয়ে পাঠায় প্রশাসন। তখন রাজ্য বিজেপির তরফে মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নামে প্রস্তাব পাঠানো হয়। লালবাজারে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে দিলীপ ঘোষ বলেন,''বিজেপির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। লালবাজারে তিনজন প্রশাসনিক কর্তা থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে বসবেন বিজেপির তিনজন। তবে মামলায় আগাগোড়ায় সঙ্গে ছিলেন প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁরাও লালবাজারে যাবেন''।                    


এদিন সকাল পর্যন্তও ঠিক ছিল প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন মুকুল রায়, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার। কিন্তু হঠাত্ করে এই বদল কেন? প্রতাপ ও জয়প্রকাশের জায়গায় দিলীপ ও কৈলাসের নাম কেন পাঠানো হল? উঠছে প্রশ্ন। দিলীপ ঘোষের দাবি, দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থাকতে হবে। 


গেরুয়া শিবিরের রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে এখন শাসক দল ও বিজেপির মধ্যে চলছে মল্লযুদ্ধ। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে ধাক্কা খায় বিজেপি। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয় তারা। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ স্বস্তি দেয় বিজেপিকে। শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, রথযাত্রার দিনক্ষণ নির্ধারণে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে বিজেপিকে। বিজেপির তরফে যে তিন জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন অর্থাত্ মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিয়ে আপত্তি ছিল রাজ্যের। রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কীভাবে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের ডিজি, মুখ্যসচিব।


সেই যুক্তি উড়িয়ে দেয় আদালত। স্পষ্ট জানায়, অপরাধ প্রমাণ না হলে অপরাধী নয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৈঠকে বসার সময় দেওয়া হয়। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিজেপিকে বৈঠকে ডেকেছে লালবাজার। বৈঠক যে হতে চলেছে, তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। সোমবার নবান্নে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ডিজি। কনফারেন্স কলে ছিলেন সংশ্লিষ্ট জের পুলিস সুপাররা। সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু ও উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা দিয়েও রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে না। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক এনিয়ে আলোচনা করা হবে। তাঁদের কী করণীয়, তা বলে দেবেন পুলিস কর্তারা। 


আরও পড়ুন- তিন রাজ্যে সিপিএম, আপ, সপার চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে নোটায়