জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ল্যানসেট জার্নাল তাঁর কাজকে বিশ শতকের 'সম্ভাব্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বনগাঁ সীমান্তে কলেরায় আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষকে বাঁচানোর নেপথ্যে মূল ভূমিকা ছিল এই চিকিৎসকের। ১৯৭১ সাল থেকে ভারত এবং সারা বিশ্বে অন্তত ৭ কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে তাঁর উদ্ভাবনী ক্ষমতা। এ হেন বিরল প্রতিভাসম্পন্ন ও বিরল ক্ষমতাসম্পন্ন চিকিৎসক শনিবার প্রয়াত হলেন এই মহানগরে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Robotic Pill: ইনজেকশনের দিন শেষ, এবার পাকস্থলীতে সরাসরি ইনসুলিন পৌঁছে দেবে রোবট


৭১'এর যুদ্ধের সময় শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ কলেরা মহামারি হয়েছিল। সেই সময়ে স্যালাইন ফুরিয়ে গিয়েছিল। এদিকে বিকল্প ব্যবস্থা না করলে মরতে হবে অসংখ্য মানুষকে। তখনই এগিয়ে এলেন দিলীপ মহলানবিশ। জনস হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের সহায়তায় ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট বা ওআরএস তৈরি করেছিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তথা ক্লিনিক্যাল বিজ্ঞানী এই দিলীপ মহলানাবিশ। চার চা চামচ টেবিল সল্ট, তিন চা চামচ বেকিং সোডা এবং ২০ চা চামচ বাণিজ্যিক গ্লুকোজের মিশ্রণে ওআরএস তৈরি করলেন তিনি। তখনও পর্যন্ত গবেষণাগারের ঘেরাটোপেই ছিল ওআরএস। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তা ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন ডা. মহলানবিশ। এই ওআরএস ব্যবহারের ফলে দু'প্তাহের মধ্যে তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকা শিবিরগুলিতে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ থেকে ৩.৬ শতাংশে নেমে এসেছিল। এরই জেরে ঘুরে গিয়েছিল যুদ্ধের গতি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)