ওয়েব ডেস্ক: বিধি ভেঙে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ৩৯জন কর্মী নিয়োগ। আদালত সেই নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিলেও তা মানেনি রাজ্য। ২ বছর পর সেই ৩৯ জনকেই বরখাস্তের নোটিস দিল রাজ্য। এবার আদালতের দ্বারস্থ বরখাস্তের নোটিস পাওয়া কর্মীরা। এতদিন আদালতের নির্দেশ না মানায় রাজ্যের ভূমিকার কড়া সমলোচনায় বিচারপতি। ফলে নতুন করে অস্বস্তিতে প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৭ বজবজ এক নম্বর ব্লকে ৩৯ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে নিয়োগ হয়। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত যোগ্যতা ছিল উচ্চমাধ্যমিক। পরে দেখা যায় চাকরি পেয়েছেন স্নাতক উত্তীর্ণরা। এবিষয়ে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে মামলা করেন কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। ২০১৪-এ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলেও সেই সময় নিয়োগ খারিজ করা হয়নি। সম্প্রতি ওই ৩৯ জন কর্মীকে বরখাস্তের নোটিস জারি করা হয়। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন বরখাস্তরা।


তবে মামলার সব নথি খতিয়ে দেখে এদিন রাজ্যকে কার্যত তুলোধনা করেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।  রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ভর্তসনা করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতারা চিঠি লিখে দিলে চাকরি হচ্ছে। আর যোগ্য লোক চাকরি পাচ্ছেন না। মুখ্যসচিব আদালতের নির্দেশও  মানছেন না। তিনি ভগবান নাকি? আদালতের নির্দেশ কেন মানছেন না? যতই ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকুন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রাজ্যের সমাজকল্যাণ আধিকারিককে জানাতে হবে, কী ভাবে ঘুরপথে চাকরি হল? যাঁরা যোগ্য হয়েও চাকরি পাননি, তাঁদের এতদিনের পুরো বেতন রাজ্যকে মিটিয়ে দিতে হবে।


এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশে মুখ পুড়েছে রাজ্যে প্রশাসনের। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও আদালত একই রকম কড়া অবস্থান নেওয়ায় নিঃসন্দেহে প্রশাসনিক কর্তাদের অস্বস্তি আরও বাড়বে।