ওয়েব ডেস্ক : অফিস, মিটিং, টার্গেট অ্যাচিভের জন্য রুদ্ধশ্বাস দৌড়...  সকাল থেকেই ফর্মুলা ওয়ানের গতিতে ছুটছে গোটা শহর। আর এই দৌড়ে কোথাও যেন আলগা হয়ে যাচ্ছে সম্পর্কের বাঁধন। বাড়ছে অল্পবয়সীদের মধ্যে ডিভোর্সের সংখ্যা। আপনার সংসারে বাসা বাঁধেনি তো এই বিচ্ছেদের অসুখ?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একসঙ্গে থাকা। তবুও একসঙ্গে নয়। কোথায় যেন একটু একটু করে আলগা হচ্ছে বাঁধনটা। পরস্পরের ছোট ছোট ভাল লাগা, খারাপলাগা গুলি এখন আর আগের মতো মনে থাকে না। এখন আর দুদণ্ড পাশে বসে গান শোনার ফুরসত্ নেই। সময় নেই একসঙ্গে দুকদম হাতে হাত ধরে পথ চলার। মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরু। মেট্রো শহর গুলিতে রোজ বেড়েই চলেছে বিচ্ছেদের সংখ্যা।


সমীক্ষা বলছে, ১০ বছরে শুধু কলকাতাতেই বিবাহ বিচ্ছেদ ৩৫০ শতাংশ বেড়েছে। এদের মধ্যে একটা বড় অংশই অল্পবয়সী দম্পতি। বিয়ের বছর না ঘুরতেই অনেকে ডিভোর্সের পথে হাঁটছেন।


কেন বিচ্ছেদ?


মাত্র এক দশক আগেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডিভোর্সের পিছনে থাকত পণ প্রথা, বধূ নির্যাতনের অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হতেন মহিলারা। তবে মেট্রো শহরগুলিতে সে ছবি এখন বদল হয়েছে। স্বনির্ভর মহিলারাও চাইছেন না শুধু সামাজিকতার খাতিরে বিয়ে টিকিয়ে রাখতে । এমন কী খোরপোষ, সম্পত্তি ভাগের জটিলতায় যেতে চাইছেন না তাঁরা । নিজের স্বাধীনতা, স্বাতন্ত্র্যের সঙ্গে কোনও কমপ্রোমাইজে যেতে রাজি নন আজকের তরুণ-তরুণীরা।


আবার কখনও দেখা যাচ্ছে বিয়ের আগের পরিচিত মানুষটাই হঠাত্ বদলে গেল বিয়ের পর। একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার প্রতিজ্ঞাগুলি হঠাত্ই শেষ। কোথাও আবার, সম্পর্কে বাঁধা হচ্ছে প্রফেশনাল লাইফ। একে অন্যের পদোন্নতি মানতে পারছেন না, বাড়ছে দূরত্ব। ব্যক্তিগত পছন্দের ফারাকগুলিও অনেক ক্ষেত্রে এতটাই বড় হয়ে যাচ্ছে যে, একসঙ্গে পথ চলা দায়। ভাঙছে হৃদয়...ভাল করে জোড়ার আগেই ভাঙছে সংসার।


কীভাবে এড়ানো যেতে পারে এই বিচ্ছেদ?


একটু অন্য পথে ভাবুন। নিজের কাজ, পছন্দ অপচ্ছদের পাশাপাশি সময় দিন সঙ্গীকেও। সঙ্গীর ভাললাগা, খারাপলাগাগুলিকে মূল্য দিন। মন দিয়ে তাঁর মতামতও শুনুন। সঙ্গীর পেশাগত সুবিধা-অসুবিধাগুলিকে মূল্য দিন। সংসারের কাজ দুজনে ভাগ করে নিন। সংসার-সম্তানের দায়িত্ব স্ত্রীর উপর চাপিয়ে দায় সারার যুগ আর নেই।


পাশাপশি চলার অঙ্গীকার নিয়েই তো শুরু হয়েছিল পথ চলা। তাই শত ডেডলাইনের চাপেও একবার সময় করে পাশাপাশি হাঁটুন। হাতে হাত রাখুন। ফের একবার একসঙ্গে স্বপ্ন দেখুন...