মিলল না চিকিত্সকদের স্বস্তি, মেডিক্যাল বন্ড রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ
গ্রামের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক বাড়াতে ২০১৩ সালে প্রথমবার বন্ডের কথা বলে রাজ্য সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেডিক্যাল বন্ড রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, ‘ ৩ বছর গ্রামে চিকিত্সা করতে হবে, নয়তো চিকিতসকদের ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।’ রাজ্য সরকারের রায়কে অসাংবিধানিক বলেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
গ্রামের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক বাড়াতে ২০১৩ সালে প্রথমবার বন্ডের কথা বলে রাজ্য সরকার। বলা হয়...
আরও পড়ুন: পৈলানে গ্রুপের একাধিক অফিসে তল্লাশি
এমডি বা এমএস পাশ করলে একবছর গ্রামে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা করতে হবে।
অন্যথায় ১০ লাখ টাকা বন্ড দিতে হবে।
২০১৪ সালে নতুন নির্দেশিকায় সময় এবং টাকা বাড়িয়ে ৩ বছর ও ৩০ লাখ টাকা করা হয়।
এই নির্দেশিকা নিয়ে ২০১৭সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়।
৩ নভেম্বর অযৌক্তিক, অবৈধ বলে ২০১৪-র নির্দেশিকা খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গলবেঞ্চ।
তবে এক বছরের বন্ড নিয়ে নির্দেশিকা খারিজ হয়নি।
২০১৮-এ যাঁরা এমডি, এমএস পাশ করেন গত একুশে জুন তাদের বন্ড নিয়ে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। তবে কত সময়ের জন্য কতটাকার বন্ড তা নির্দেশিকায় স্পষ্ট নয় বলেই অভিযোগ। আর এরজেরেই একাধিক মামলা হয় হাইকোর্টে।
কেন ২০১৭ -র নির্দেশ মানা হল না, সে প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্য সচিবকে হাজির হতে নির্দেশ দেয় আদালত। শুক্রবার স্বাস্থ্য সচিব আদালতকে জানান,গতবছর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশর পরেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রেখেছে রাজ্য। তবে বিষয়টি এতদিন প্রকাশ্যে আসেনি। ডিভিশন বেঞ্চের রায় পর্যন্ত আদালতের কাছে সময় চান তিনি। এর পরেই গত নভেম্বর থেকে রাজ্যের বন্ড সংক্রান্ত সব নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায়। বন্ড প্রথা অবশ্য এদিন খারিজ করেনি আদালত।