নিজস্ব প্রতিবেদন: পার্ক স্ট্রিটের পর সল্টলেক। আরও এক মাদক পাচার চক্রের পর্দাফাঁস করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাদক পাচার করার অভি‌যোগে  বিধাননগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে নিলয় ঘোষ ও জেরম ওয়াটসন নামে দু'জনকে। নিলয় ম্যানেজমেন্ট পাস, আর জেরম ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ছাত্র। শহরের অভিজাত কলেজগুলির ধনী ছাত্ররাই ছিল এদের গ্রাহক। রেভ পার্টিরও আয়োজন করত এরাই। দুজনের কাছ থেকে থেকে একশো আটচল্লিশ ব্লট এলএসডি উদ্ধার করেছে নাকরকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। উদ্ধার হয়েছে এক্সট্যাসি ট্যাবলেটসও।


নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এই মাদক লজেন্সের মাধ্যমে সরবারহ করা হত গ্রাহকদের কাছে। লজেন্সের উপরে লেখা থাকত কিউ ডান্স, স্কাইপের কিছু সাংকেতিক নাম। কলকাতা ও সল্টলেকে কিছু নামী প্রতিষ্ঠানে ওই মাদক সরবারহ করা হত। এর মধ্যে রয়েছে খিদিরপুরের সেন্ট থমাস ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিআইটি কলকাতা, আইইএম নিউ টাউন, রানী বিড়লা কলেজ, আইআইএইচএম কলকাতা। এলাকার এজেন্টের মাধ্যমে ওই মাদক ছাত্রদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হতো।


নিলয়কে জেরা করে তাজ্জব গোয়েন্দারাও। কলকাতার আশি শতাংশ পার্টিতে এলএসডি, এক্সট্যাসি ও এমডিএমএর মতো পার্টি ড্রাগস সরবরাহের মূল পান্ডা  ছিল সে। কার্যত শহরের পার্টি ড্রাগ সরবরাহে বেতাজ বাদশা বছর কুড়ির এই যুবক।


সল্টলেকের অভিজাত পরিবারে বড় হওয়া নিলয়ের ওষুধের দোকানে আজ তল্লাসি চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দারা। তার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় পাসবুক, ল্যাপটপ। নিলয় যে নিজেও নেশা করত তারও বেশকিছু প্রমাণ মিলেছে ঘর থেকে। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে নিষিদ্ধ মাদক অনলাইনে আনাত নিলয়। মাদক আসতো ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে। অনুমান করা হচ্ছে চিন থেকেও মাদক আনা হত।


আরও পড়ুন-'লাভ ইউ মোদীজি'! তরুণ্যের ভালবাসার বিজ্ঞাপনে জোর প্রচার বিজেপির