যৌনাঙ্গসহ গোটা গায়ে দগদগে ঘা, হোমে নির্যাতিতা শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক
আজই তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন সে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দমদমের হোমে নির্যাতিতা শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাত থেকেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে তাঁর। আজই তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন সে।
গতকালই প্রকাশ্যে আসে চরম নৃশংসতার শিকার ৯ বছরের বালিকা। যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুড়ো, খুন্তি দিয়ে আঘাত! মাস চারেক ধরে তার উপর দমদম ওই হোমের সিনিয়র দিদিরা অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নাবালিকাকে ভর্তি হাসপাতালে।
শিশুর বাবা-মা দু'জনেই মারা গিয়েছেন। ক্যানিং-র তালদি এলাকার কৃষ্ণ কলোনি গ্রাম মাসির বাড়িতে থাকত দু'বোন। মাস চারেক আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে তাদের দমদমের একটি হোমে রেখে দিয়ে আসেন মেসো। মাসির বক্তব্য, স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে একপ্রকার জোর করেই ওই দুই নাবালিকাকে দেখতে যান তিনি।
আরও পড়ুন: যৌনাঙ্গে লঙ্কাগুঁড়ো, খুন্তি দিয়ে আঘাত! দমদমের হোমে নাবালিকার উপর নৃশংস অত্যাচার
হোমে গিয়ে দেখেন, বারান্দার এক কোণে পড়ে রয়েছে আক্রান্ত ওই নাবালিকা। সারা শরীরের দগদগে ক্ষত! এরপর তড়িঘড়ি ওই নাবালিকা ও তার বোনকে ক্যানিং-র নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এক প্রতিবেশী খবর দেন ক্যানিং থানা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা চাইল্ড লাইনে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিস ওই নাবালিকার বাড়িতে এসেছিল। তবে, পুলিসকর্মীরা জানান, ঘটনাটি যেহেতু দমদমে ঘটেছে, তাই সেখানকার থানাতেই অভিযোগ দায়ের করতে হবে। এ দিনই ওই নাবালিকাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।