ওয়েব ডেস্ক: ডানলপ ও জেসপ কারখানা অধিগ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য ।অধিবেশনের শেষ দিন তড়িঘড়ি বিল আনছে সরকার। একসময় অর্ডিন্যান্স জারি করার ভাবনা ছিল সরকারের। তবে মূলত বিরোধীদের আপত্তিতেই বিল আনার তোড়জোড়। ভোটের মুখে এই দুটি কারখানা অধিগ্রহণ করে নিঃসন্দেহে বড় চমক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ডানলপ ও জেসপ কারখানা নিয়ে ভোটের আগে মাস্টার স্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার বিধানসভায় জানালেন  দুটি কারখানাই অধিগ্রহণ করবে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোনও বিল পাশ ছাড়া কীভাবে  কারখানা দুটি  অধিগ্রহণ করবে সরকার? শনিবারই শেষ হচ্ছে চলতি বিধানসভার অধিবেশন। সেক্ষেত্রে মাত্র ১ দিনে কীভাবে বিল পেশ করে তা পাশ করানো সম্ভব? এরপরই ক্যাবিনেট বৈঠকে ওঠে  ডানলপ ও জেসপ ইস্যু।  ভোট প্রায় দোরগোড়ায়। তাই অর্ডিন্যান্স না বিল, সে নিয়ে ধন্দে ছিল সরকার। তবে রাজ্যপাল সই করে দেওয়ায় দ্রুত বিল আনার সিদ্ধাম্ত হয়। নানা কারণে জেসপ ও ডানলপ, দুটি কারখানার দশাই বেহাল। এই অবস্থায় অধিগ্রহণে রাজ্যের কত টাকা খরচ হবে? কত দেনা দুই সংস্থার? কর্মচারীদের বেতন কি হবে? অনেক প্রশ্নই এখন সরকারের সামনে।  সূত্রের খবর, সমস্যা মোকাবিলায়  গড়া  হয়েছে হাইপাওয়ার কমিটি। কমিটিতে থাকছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, পূর্ণেন্দু বসু এবং মলয় ঘটক।


মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন,দুই কারখানার  সব দায়  নেবে সরকার। যদিও সূর্যবাবুদের প্রশ্ন ডানলপও শেষ পর্যন্ত সিঙ্গুর হবে না তো? তবে বিরোধী শিবিরের কটাক্ষ নিয়ে আদৌ ভাবিত নন  মুখ্যমন্ত্রী।  কারণ সরকার জানে, বিলের বিরোধিতা করলে ভোটারদের কাছে  জবাবদিহি করতে হবে বিরোধীদেরই।