নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে সাতটা। সেক্টর ফাইভ স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে প্রায় জনা পঞ্চাশ যাত্রীর লাইন। সবাই যে মেট্রো চড়েই গন্তব্যে যাওয়ার প্রয়োজনে স্টেশনে ভিড় জমান এমনটা কিন্তু নয়। ইতিহাসের সাক্ষী থাকার তাগিদেও সাতসকালে ছুটে আসা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টোকেন, গোলাপের পাশাপাশি ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম যাত্রী হয়ে মেমেন্তো নিয়ে চওড়া হাসি বছর আটত্রিশের রাজীব রায়ের। পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ রাজীব বাবুই শহরের নতুন মেট্রোর প্রথম টিকিট কাটেন। আবার লাইনে এমন অনেকে ছিলেন, যারা ৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর এসপ্ল্যানেড থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রা করেছিলেন। প্রথম মেট্রো সফর তাই শুধু সফরই রইলো না তাদের কাছে। প্রেম দিবসে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল আবেগ, প্যাশন, নস্টালজিয়াও।   


শুরুটা ভালই ছিল। উল্লাস, উচ্ছ্বাস, করতালির শব্দে ট্রেনের কামরায় কান পাতা দায়। সম্বিত ফেরার আগেই আমরা পৌঁছে যাওয়া গেল করুণাময়ী। অশীতিপর দম্পতির চোখে মুখে তখন শৈশবের উদ্দীপনা। একে একে পার হয়ে গেল সেন্ট্রাল পার্ক, বেঙ্গল কেমিক্যালস। ঠিক আটটা ছাব্বিশ  মিনিটে ট্রেন যখন সল্টলেক স্টেডিয়াম পৌঁছাল, তখন কিছুটা ঘোর, কিছুটা ভালবাসা আর ভাললাগা নিয়ে নেমে এলেন ইতিহাসের সাক্ষী থাকা চৌষট্টি জন যাত্রী। শুরু হল নতুন অধ্যায়। ভ্যালেন্টাইন্স উপহারের গোলাপ হাতে নিয়ে পথ চলা শুরু হল ইস্ট ওয়েস্টের।