কলকাতা: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রুট ঠিক করবে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। এবিষয়ে  হস্তক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য সরকার। আজ এই  মন্তব্য করেছেন বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া। বিচারপতি জানিয়েছেন, ২০১২তেই  ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দিয়েছে রাজ্য। তাই  প্রস্তাবিত মেট্রোর যাত্রাপথ কী হবে সেবিষয়ে এখন রাজ্যের মত গ্রাহ্য হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 রাজ্য চায়, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জংশন স্টেশন হোক এসপ্লানেড। তাতে পাল্টাতে হবে প্রকল্পের নকশা। এ নিয়েই বিতর্ক গড়ায় হাইকোর্টে।   মঙ্গলবার মামলাটি ফের উঠলে আদালতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানায়,  ২০০৮-এ মউ সাক্ষরের সময় ঠিক হয় কেন্দ্র ও রাজ্য প্রকল্পের খরচ ভাগ করে নেবে। ২০১২-এ প্রকল্পের নতুন নকশা দেয় রাজ্য। এনিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে শুরু হয় মতবিরোধ। মতবিরোধের জেরে ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্পের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেয় রাজ্য সরকার। প্রকল্পের দায়িত্বভার নেয় কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ও রেলবোর্ড। প্রকল্পের ব্যয়ভারের ২৬ শতাংশ নগোন্নয়ন মন্ত্রক ও বাকি ৭৪শতাংশ রেল দেবে বলে ঠিক হয়।


 মেট্রো রেলের বক্তব্য শোনার পর রাজ্য সরকারের ভূমিকায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন  বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া। তাঁর মন্তব্য,""২০০৮-এ মউ সই হলেও এতদিনেও কাজ শুরু হল না কেন?এখন পর্যন্ত নতুন রুট চূড়ান্ত হয় নি কেন?''


কতদিনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে?  আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এসপ্ল্যানেডকে জংশন স্টেশন করা হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু রাজ্যের যুক্তি মানতে চাননি বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া। এসময়েই মেট্রোর আইনজীবী  জানান রাজ্যের প্রস্তাবিত নকশা মানতে গেলে অতিরিক্ত খরচ হবে১২০০ কোটি টাকা । তখনই বিচারপতি জানতে চান,


অতিরিক্ত খরচের বিষয়টি  কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে কি? রেলের আইনজীবী বলেন,  দু হাজার বারোয় রাজ্য অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর নতুন করে কেন্দ্রকে আর কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। এরপরই বিচারপতি জানিয়ে দেন, রাজ্য যখন প্রকল্পের ব্যায়ভার গ্রহণ করবে না তখন রুট নিয়েও রাজ্যের মত গ্রাহ্য হবে না। প্রকল্পের রুট ঠিক করবে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ও রেলবোর্ড। কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকই প্রকল্পের কাজও দেখভাল করবে।


আদালতের নির্দেশ রাজ্য মেনে চলবে বলে জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রাক্তন রেলপ্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীও।