নিজস্ব প্রতিবেদন: এ বার রেল লিখিত ভাবে জানিয়ে দিল মাঝেরহাট ব্রিজের কাজে দেরির জন্য দায়ী রাজ্য সরকারই, তারা নয়।

 

মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে চাপানউতোর চলছিলই। সেতু দেরিতে চালুর অভিযোগে তারাতলায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এরপর এই ইস্যুতে অরূপ বিশ্বাসের অভিযোগ, রেলের টালবাহানাতেই দেরি হয়েছে সেতুর কাজে। দায় তাই কেন্দ্রের। মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে পাল্টা আন্দোলনে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। রেলের বিরুদ্ধে দেরির অভিযোগে প্রতিবাদ মিছিল হয়। 

 

যদিও এই ইস্যুতে রাজ্যের দিকেই পাল্টা আঙুল তুলেছিল রেল। তাদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারই জমা দেওয়ার চার মাসের মধ্যে নকশা বদল করেছিল। তার পরেও বহু জায়গায় ভুল ছিল আর তার জেরে এই দেরি বলে দাবি রেলের। 

 

তবে এ বার রেল লিখিত ভাবে জানিয়ে দিল, মাঝেরহাট ব্রিজের কাজে দেরির জন্য দায়ী রাজ্য সরকারই। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরে কোন নকশায় ব্রিজ তৈরি হবে, তা নিয়েই ৪ মাস অনর্থক দেরি করে ফেলে রাজ্য। তারপর তাদের আরও দেড়মাস দেরি হয় মেট্রোর কাজের সঙ্গে মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়, তার জট কাটাতে। সর্বশেষ রেলের কাছে ব্রিজের যে  নকশা জমা দিয়েছিল রাজ্য সেটাতেও অনেক খামতি ছিল বলে তাদের দাবি। সেটা নিয়ে সব তরফেই বসা হয়। এবং তাতেও অনেক সময় নষ্ট হয়। নকশা ফের আঁকা এবং সে সব জমা দেওয়া সংক্রান্ত কাজকর্মের জেরে আরও কিছু সময় নষ্ট হয়। এ ভাবে সমস্ত কর্মপ্রক্রিয়াটা ব্য়াখ্যা করে রেল সবশেষে জানায়, পূর্ব রেলের কোনও তরফেই কোনও গাফিলতি নেই। তাদের জন্য কোনও দেরিও হয়নি। পূর্ব রেল সব সময়ই সমস্ত রকম সমন্বয়ের ক্ষেত্রে খুবই তৎপর থেকেছে। ব্রিজ নির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা পালনের জন্য রেল পিডব্লিউডি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব তরফের সঙ্গে সব ধরনের সমন্বয় রেখেই কাজ করেছে। 

 

মোট কথা রেল বলতে চেয়েছে, ব্রিজ নির্মাণে কোনও গাফিলতি হয়ে থাকলে তার জন্য কোনও ভাবেই পূর্ব রেল দায়ী নয়। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা যখন যা করার তা করেছে।

 

আরও পড়ুন:  শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গ্রহণ মুখ্যমন্ত্রীর, শীর্ষ নেতাদের ডাকলেন জরুরি বৈঠকে