নিজস্ব প্রতিবেদন: ২১ দিনের লড়াই শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল ইকো পার্কে জয় রাইড দুর্ঘটনায় আহত রায়ান নায়েক। শনিবার তাকে বাইপাসের ধারারে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছুটি দেন চিকিত্সকরা। ছেলেকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরলেও খুশির ঝলক দেখা যায়নি রায়ানের মা-বাবার চোখে মুখে। কারণ, ওই দুর্ঘটনাতেই ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে মেয়ে মণীষা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় নিউ টাউনের ইকো পার্কে দমকা হাওয়ায় উড়ে যায় জাম্পিং ক্যাসেল নামে শিশুদের একটি জয়রাইড। দুর্ঘটনায় মাটিতে আছড়ে পড়ে ১৩টি শিশু। শক্ত মেঝের ওপর আছড়ে পড়ে গুরুতর আঘাত পায় সাড়ে তিন বছরের রিয়ান নায়েক। হাসপাতালের পথে অ্যাম্বুল্যান্সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় সে। হাসপাতালে পৌঁছে তাকে ভেন্টিলেশনে পাঠান চিকিত্সকরা। পরীক্ষায় জানা যায় ভেঙেছে রিয়ানের মেরুদণ্ড। আঘাত লেগে তার মাথার ৬ জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। 
চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ৪৮ ঘণ্টা পর থেকে চিকিত্সায় সাড়া দিতে শুরু করে সে। ১৩ দিন ভেন্টিলেশনে ছিল রিয়ান। স্নায়ুশল্যচিকিত্সক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের অবিরাম প্রচেষ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে সে। মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙায় আপাতত তাকে বাড়িতেই বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে।


সোদপুরে শুটআউট, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা যুবক


ছেলেকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরতে পারায় চিকিত্সকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রিয়ানের মা ও বাবা। রিয়ানের বাবার কথায়, দুটো হাসপাতাল জানিয়ে দিয়েছিল, ছেলে বাঁচবে না। এখানকার চিকিত্সকরা সেটা মিথ্যা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। 


রিয়ান সুস্থতার পথে এগোলেও মন ভাল নেই নায়েক দম্পতির। কারণ, দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট লেগেছে রিয়ানের দিদি মণীষার চোখে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সম্ভবত ডানচোখের দৃষ্টিশক্তি কোনও দিনই ফিরবে না তার।