`ভোগ করেছেন সবই`, কীসের `টানে` পার্থর কুকীর্তিতে জড়ান অর্পিতা? আদালতে ফাঁস করল ইডি!
`পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রাজা। এবার অর্পিতাকে ঠিক করতে হবে তিনি ডি-ফ্যাক্টো রাণী ছিলেন নাকি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় তাঁর আঙ্কেল ছিলেন। দুজনের মধ্যে কতটা গভীর সম্পর্ক! তাঁর তথাকথিত কাকুর সঙ্গে! সেটা তদন্তেই উঠে এসেছে।`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্যই সব জেনেশুনেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়। যদি তাঁর ফ্ল্যাটে কেউ জোর করে টাকা রাখেন বা সই করাতেন তাহলে তিনি কেন আগে অভিযোগ দায়ের করেননি? কারণ, তিনি এই বিলাসবহুল জীবন চেয়েছিলেন এবং তা ভোগ করেছেন। অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের জামিনের বিরোধিতা করে সাফ বক্তব্য ইডির।
ইডির বক্তব্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রাজা। এবার অর্পিতাকে ঠিক করতে হবে তিনি ডি-ফ্যাক্টো রাণী ছিলেন নাকি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় তাঁর আঙ্কেল ছিলেন। কারণ, পার্থর ৩১ টি LIC পলিসির নমিনি ছিলেন অর্পিতা। প্রত্যেকটাতে সইও করেছিলেন অর্পিতা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী যতই দাবি করুক যে পার্থর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, কিন্তু ৩১ টি LIC পলিসিতেই পার্থকে 'কাকু' বলে উল্লেখ রয়েছে। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, 'কলকাতাতে এখন দুটো কাকু। একজন পার্থ চ্যাটার্জি। অন্যজন কালীঘাটের কাকু। দুজনের মধ্যে কতটা গভীর সম্পর্ক! তাঁর তথাকথিত কাকুর সঙ্গে! সেটা তদন্তেই উঠে এসেছে।'
ইডির স্পষ্ট বক্তব্য, এই দুর্নীতিকাণ্ডে অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ও সমানভাবে দোষী। কারণ, দুজনে একসঙ্গে সম্পত্তি কিনেছেন। তাঁকে দিয়ে যদি জোর করেই সই করানো হয়ে থাকে বা তাঁর ফ্ল্যাটে জোর করে টাকা রাখা হয়ে থাকে, তবে তিনি আগে কেন অভিযোগ দায়ের করেননি? অন্যদিকে জামিন পেতে এদিন দুর্নীতির যাবতীয় দায়ভার পার্থর উপরই চাপালেন অর্পিতার আইনজীবী। অর্পিতার আইনজীবীর দাবি, যা টাকা পাওয়া গিয়েছে তা পার্থর। পার্থই মাস্টারমাইন্ড। অর্পিতার নিজস্ব তিনটি সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়া অর্পিতার নামে অন্য যে সম্পতি রয়েছে তার যাবতীয় কন্ট্রোল ছিল পার্থর হাতে। এদিন অবশ্য শুনানি শেষে কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। আগামী পরশুদিন অর্ডার হবে।
প্রসঙ্গত, কদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই ফুঁসে ওঠেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। আলিপুরের সিজেএম আদালতে পেশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষোভ উগরে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সাফ দাবি করেন, তিনি কোনওভাবেই শিক্ষা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। ৩০০ দিনের উপর বিনা বিচারে রয়েছেন তিনি। পার্থ চট্টাপাধ্যায় বলেন, 'আমি ৩০০ দিন বিনা দোষে জেল খাটছি। তার বিচার কোথায়? কোনওভাবেই শিক্ষা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই আমি।'
আরও পড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের কুমন্তব্য, ব্যবসায়ী বাবার বাড়িতে হামলা-খুনের হুমকি যুবকের!