বিক্রম দাস: মানিকের দুর্নীতির খোঁজে মহিষবাথানের একটি অফিসে অভিযানে ইডি । ইডি সূত্রের খবর, মহিষবাথানের ওই অফিসটি মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের নামে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এটি একটি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এই অফিসে। অফিসটির সমস্ত দরজা বাইরে থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। ফলে দীর্ঘক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করে ইডি। শেষমেশ  ভিতরে ঢোকার জন্য তালা খুলতে একজন চাবিওয়ালাকে ডেকে এনেছে ইডি। ওদিকে গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইডি সূত্রে খবর, এই অফিসটি বকলমে চালাতেন মানিক ভট্টাচার্য। মাঝেমধ্যে মানিক ভট্টাচার্য নিজেও আসতেন এই অফিসে।  এই অফিসে বেআইনি টাকা লেনদেন  হত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, এই অফিসের ভিতর থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া যাবে। পাশাপাশি,  এই ইনস্টিটিউট থেকে কার কার চাকরি হয়েছে, সেটাও ইডির আতস কাঁচের তলায়।


প্রসঙ্গত, প্রাইমারি টেট কেলেঙ্কারিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে নেওয়ার দিন আদালতে বিস্ফোরক দাবি করে ইডি। ইডি দাবি করে, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ৪৪ জনের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। চাকরির বিনিময়েই এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইডির। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সেই চিঠি কী করে মানিকের হেফাজতে এল? ইডি সূত্রে খবর, এই চিঠি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করা হলে, তিনি পরস্পরবিরোধী উত্তর দেন। তাঁর কথায় অসঙ্গতি মেলে। 


পাশাপাশি, আদালতে ইডি আরও জানায় যে, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নামে একটি কোম্পানির হদিশ মিলেছে। সেই কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। বেঙ্গল টিচার্চ ট্রেইনিং ইন্সটিটিউশন নামে একটি সংস্থা সেই টাকা পাঠিয়েছিল। একইসঙ্গে ইডির আতসকাঁচের তলায় চলে আসে মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ। কারণ, মানিক ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপেই আসে বিতর্কিত সেই চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা । 'RK' নামে সেভ থাকা একটি নম্বর থেকে সেই মেসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল, চূড়ান্ত লিস্টে অনুমোদন দিয়েছেন 'DD'। 


আরও পড়ুন, Primary TET: প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি চাই, ১ দিনে হাইকোর্টে ১৪০০ আবেদন!


এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কে এই 'RK'? কে এই 'DD'? যার উত্তর জানতে মরিয়া ইডি। যে বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অধিকারীর বিস্ফোরক অভিযোগ, 'শিক্ষা দুর্নীতিতে জড়িত মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রাথমিক সংকেত মিলেছে। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' তাঁর সাফ কথা, 'মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠির উল্লেখ করেছে ইডি। তাই তদন্তের ঊর্ধ্বে নন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে নবান্নে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)