বিক্রম দাস: ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। কয়লাকাণ্ডে যেদিন জিজ্ঞাসাবাদ ও বাড়ি-কোয়ার্টারে তল্লাশি চালাল সিবিআই, সেদিনই মলয় ঘটককে নোটিস পাঠাল ইডি। দিল্লিতে ফের হাজিরা দিতে বলা হল রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে। কবে? ১৪ সেপ্টেম্বর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কয়লাকাণ্ডে এজেন্সির রেডারে মলয় ঘটক! এদিন সকালে আসাসোলের আপকার গার্ডেন, আপকার গার্ডেন ওয়েস্ট ও চেলিডাঙায় মন্ত্রীর ৩ বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। বাদ যায়নি কলকাতায় মন্ত্রীর কোয়ার্টার, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও আলিপুরের ফ্ল্য়াটও। শুধু তাই নয়, কলকাতায় কোয়ার্টারে মলয় ঘটক ও তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।


কেন এই তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ? সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা ডায়েরিতে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম পাওয়া গিয়েছে। বস্তুত, তাঁকে একাধিকবার দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। শেষবার নোটিশ পাঠানো হয় এবছরের জুলাই। এখনও পর্যন্ত একবারই দিল্লিতে হাজিরা দিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী। স্রেফ জিজ্ঞাসাবাদ নয়, সেবার মলয় ঘটকের বয়ানও রেকর্ড করেছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর ফের তলব করা হল।


আরও পড়ুন: CBI Raids Moloy Ghatak House: টানা ৭ ঘণ্টার তল্লাশি, শুধুমাত্র বদনাম করার জন্যই এই অভিযান: মলয় ঘটক


এদিকে আসানসোলের চেলিডাঙায় পুরনো বাড়িতে তল্লাশির পর সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন মন্ত্রীর ভাই। অভিজিৎ ঘটকের অভিযোগ, 'কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে পারেননি সিবিআই আধিকারিকরা। আমার দাদু, বাবা ও দাদা আইনজীবী। আইনের বিষয়টা আমরা ভালো বুঝি। মধ্যবিত্ত ও সচ্ছল পরিবারে যা যা সম্পত্তি থাকার কথা, তাই রয়েছে। সব কিছু খেতে দেয় সিবিআই। তারপর বেরিয়ে যায়'। আসানসোলে মলয় ঘটকের স্ত্রী যে বাড়িতে ছিলেন,  সেই বাড়িতে যখন তল্লাশি চলছিল, তখন বাড়ির গেটের সামনে হাজির হন এক মহিলা। কেন? নিজেকে চিকিৎসক বলে পরিচয় দেন তিনি। দাবি করেন, মন্ত্রীর স্ত্রী অসুস্থ। জেরার সময়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে, দেখভাল করার জন্য এসেছেন। পরে দেখা যায়, চিকিৎসক নয়, ওই মহিলা স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর! সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে জিটি রোড অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।


এদিন সিবিআইয়ের অভিযান শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মন্ত্রী। আইনমন্ত্রী বলেন,  এক বছর আগে ইডি সমন পাঠিয়েছিল। ওরা যতবার যে নথি চেয়েছে তা দিয়েছি। ওরা সব দেখেছেন। কিন্তু আশ্চর্য লাগল সিবিআইকে দেখে। ওরা আমাকে ডাকলেন না। কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করলেন না। সকালে আটটার সময় আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। সেইসময় ওরা আমার বাড়িতে এসে হাজির হলেন'। মন্ত্রীর দাবি, 'আমার বাড়িতে হাজার খানেক আইনের বই রয়েছে, ফাইল রয়েছে। সবই সিবিআই আধিকারিকরা দেখেছেন। আজ আমার একটি প্রশাসনিক মিটিং ছিল। সেখানেও যেতে পারলাম না। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল বদনাম করা'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)