পিয়ালি মিত্র: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ইডি হেফাজত হয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এবার আরও এক দুর্নীতির মামলার দিকে এগোচ্ছে ইডি। এবার ধান কেলেঙ্কারি। ধান কেনার নামে তছরুপ হয়েছে হয়েছে সরকারি টাকা। ভুয়ো চাষিদের নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। এমনটাই মনে করছে ইডি। ফলে ফের কি বেকায়দায় জ্যোতিপ্রিয়?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আল কায়দার সঙ্গে যোগাযোগ! জঙ্গি সন্দেহে ইতালিতে গ্রেফতার বাঙালি যুবক


শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্তের সময়ে ইডির হাতে এসেছিল মিউনিশিপ্যাল দুর্নীতির নথি। সেই দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি। ঠিক একইভাবে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই উঠে এসেছে ধান কেনায় দুর্নীতি কথা। এমনটাই জানিয়েছে ইডি। আজ যখন জ্যেতিপ্রিয়কে আদালতে তোলা হয় তখন ফরওয়ার্ডিং লেটারে সেই তথ্য দেওয়া হয়েছে। ধানচাষীদের কাছ থেকে সরকারি দামে ধান কেনে কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলি। ধানের দাম সরাসরি চাষিদের অ্য়াকাউন্টে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ধানা কেনার ক্ষেত্রে সরকার ও কোঅপারেটিভ সোসাইটিগুলির মধ্যে চলে আসছে কোনও না কোনও এজেন্ট। মিল মালিকরা ওইসব এজেন্টদের মাধ্যমে সরকারি রেটের থেকে কম দামে ধান কিনে নিত।


ওই ধান কেনার জন্য খাতায় কলমে কারচুপি করা হতো। কীভাবে? ওইসব এজেন্টরা কিছু চাষিদের জোগাড় করতো। তাদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতো। সমবায় সমিতির খাতায় ওইসব চাষিদের দেখানো হতো। তাদের নামে ধান কেনা হতো। এভাবে ধান কিনলে মিল মালিকদের প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা লাভ করত। ওই লাভের টাকায় মিল মালিক ছাড়াও এজেন্ট ও সরকারি আধিকারিকরা এমনকি মন্ত্রীও লাভবান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।


এনিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়। জ্যোতিপ্রিয় যেটা জানিয়েছেন তা হল তাঁর আমলে বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছিল। তিনি সিআইডিকে দিয়ে তদন্তও করিয়েছিলেন। কিন্তু সেই তদন্তের অগ্রগতি কী তা তিনি বলতে পারেননি। ওই থত্য আসার পর ইডি আরও একটি মামলা অর্থাত্ ধান কেলেঙ্কারির মামলা করতে চলেছে ইডি। আজ ইডির তরফে যে ফরওয়াডিং লেটার দেওয়া হয়েছে সেই এনিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)