অয়ন ঘোষাল: সময় এলে সবকিছু বলব, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই বুধবার তাঁকে আরেক দফা নিজেদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানাতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। নগর আদালতের ইডি স্পেশাল কোর্টে আর্জি করতে পারে তদন্তকারী দল। অফিসারদের দাবি, থিতু হওয়ার জন্য সময় চাইছেন পার্থ। ২৪ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অর্পিতা ইডির বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। সূত্র ধরে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক সাফল্যও পেয়েছে ইডি। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি এখনও সেভাবে হয়নি অর্থাৎ এত টাকা কার? কে রাখল? এইসব মূল প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব এখনও পর্যন্ত অধরা। পার্থ-অর্পিতা দুজনেই এখনও পর্যন্ত বলে চলেছেন, এই টাকা তাদের নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রের খবর, এই যুক্তি দেখিয়েই তাদের আরেক দফা হেফাজত চাইতে চলেছে ইডি। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এদিন প্রি লাঞ্চ আওয়ারেই তাদের পেশ করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। অর্পিতার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাল শহর ও শহরতলির একাধিক পার্লার ও ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু আপত্তিকর নথি মিলেছে তদন্তকারীগের হাতে। ইতিমধ্যেই সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই অভিজিত ভট্টাচার্যের নামে পিংলার একটি স্কুলের মালিকানার প্রমাণ মিলেছে। অভিজিত এই মুহুর্তে আমেরিকায় আছেন। তার বিপুল সম্পত্তির উৎস জানার জন্য পার্থকে আরও জেরার প্রয়োজন। ইডি সাইবার শাখা অর্পিতার যে দুটি বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, সেগুলির সিসিটিভি ফুটেজ সহ অন্যান্য কিছু নথির সিডি কপি আজ আদালতে পেশ করবে বলে সূত্রের খবর। 


আনুমানিক সকাল দশটা নাগাদ সিজিও থেকে বের করে দুজনকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। ইএসআই হাসপাতালে গতকাল রুটিন মেডিক্যাল চেক আপ হয়েছে। যে রিপোর্ট ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মান্যতা পায়। তাই আজ আদালতে পেশের আগে নতুন করে ফের মেডিক্যাল টেস্ট হবে না বলেই এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। ভুবনেশ্বর এইমস এবং ইএসআই জুতো কাণ্ডের পর পার্থর নিরাপত্তার ঘেরাটোপ বাড়ানো হচ্ছে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে কার্যত তাকে ঘিরে থাকবে CRPF। এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে। 


প্রসঙ্গত,  ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা ও পার্থ, দু'জনের নামে রয়েছে সেই দুটি কোম্পানি। দুটি কোম্পানিতেই ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের। কোম্পানির নথিতে উল্লেখ, ২০১১- ২০১২ সালে রেজিস্ট্রশেন হয় ওই কোম্পানি দুটির। সংস্থা দুটির ঠিকানা কলকাতাতেই রয়েছে। তবে এই দুটি কোম্পানির অস্তিত্বও শুধু-ই 'খাতায় কলমে' বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। এর পাশাপাশি, খোঁজ মিলেছে পার্থ-অর্পিতার জয়েন্ট নামে থাকা আরও বেশ কিছু সম্পত্তিরও।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)