নিজস্ব প্রতিবেদন: জিডি বিড়ালা স্কুলের ৪ বছরের ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল ওই স্কুলের শারীরিক বিষয়ক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক অভিষেক রায়কে আটক করেছে যাদবপুর থানার পুলিস।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যেই শহরের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিস। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অভিভাবকরা। এমন অবস্থায় হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেসরকারি স্কুল হওয়া সত্ত্বেও নিজে থেকে ডেকে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। জিডি বিড়লা স্কুলের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে  শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "এ ধরনের কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁদের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কড়া শাস্তি দিতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "বোর্ডর মাধ্যমে ডেকে পাঠাবো। তারপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।"   


আরও পড়ুন- জিডি বিড়লা স্কুলে ৪ বছরের ছাত্রীকে 'যৌন নির্যাতন', অভিযুক্ত পিটি টিচার


জিডি বিড়লা স্কুলে এই ঘটনা এই প্রথমবার ঘটল, তেমনটা একেবারেই নয়।  তিন বছর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল শহরেরে এই অভিজাত স্কুলে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, এত টাকা অনুদান দিয়ে স্কুলে ভর্তি করানোর পরও পড়ুয়াদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, "এখনও যদি স্কুলের ঘুম না ভাঙে তা পরিতাপের বিষয়।"  


শহরেরে অভিজাত স্কুলে নার্সারির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রীও। "এক কথায় নিন্দনীয়। ধিক্কার জানানোর মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না," প্রতিক্রিয়া শশী পাঁজার।    


আরও পড়ুন- জিডি বিড়লা স্কুলে আর যাবে না নাতনি!
  
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গাঙ্গুলি বলেন, "নিয়োগের আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষকদের কাউন্সিলিং করানো।" নির্যাতিতা শিশুর শারীরিক এবং মানসিক অবস্থানের দিকটিও চিন্তায় ফেলেছে তাঁকে। তিনি বলেন, "যে ট্রমা দেওয়া হল তা থেকে শিশুটি কখনই বেরোতে পারবে না। সারা জীবনের ক্ষতি হয়ে গেল।" একই সঙ্গে 'দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি'র দাবিও জানিয়েছেন লীনা গাঙ্গুলি