নিজস্ব প্রতিবেদন : গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। আর তা দেখেই একবালপুরে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনাটি খুন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিল পুলিস। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট শিলমোহর দিল সেই খুনের তত্ত্বেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ, একবালপুরের ঘটনাটি খুন। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে যুবতীকে। পুলিস সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ একবালপুর থানা এলাকার এমএম আলি রোডের উপর থেকে ওই বস্তাবন্দি অবস্থায় ২২ বছরের যুবতী সাবা খাতুনের দেহ উদ্ধার হয়। এলাকায় সে নয়না নামে পরিচিত ছিল। বছর ২২-এর যুবতী সাবা, ওয়ারশি লেন এলাকায় রেশমা নামে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে গত ২ মাস ধরে থাকছিল। বুধবার বিকেলে বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হয় সাবা। তারপর সন্ধ্যা থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনও সুইচড অফ ছিল। 


এরপর গভীর রাতে বস্তাবন্দি অবস্থায় দেহটি প্রথম চোখে পড়ে স্থানীয়দের। তাঁরাই একবালপুর থানায় খবর দেন। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। মৃতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তরুণীর গলায় পাওয়া যায় দাগ। বাঁ হাতের কনুইতেও ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। যদিও কে বা কারা ওই তরুণীকে খুন করেছে? কেন খুন করেছে? প্রভৃতি প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মৃতা সাবা খাতুনের বান্ধবী রেশমাকে।


অন্যদিকে এই ঘটনায় মৃতার আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সাবার নেশা করার অভ্যাস ছিল। সব সময়ই নেশা করত সে। এজন্য মাস ছয়েক রিহ্যাবিলেশন সেন্টারেও ছিল সে। তবে গত সপ্তাহেও মত্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল সাবাকে। আগে মামার বাড়িতে থাকলেও ইদানিং বন্ধুর বাড়িতে ছিল সে। গতকাল বিকেলে বিরিয়ানি আনার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে।


আরও পড়ুন, যাত্রীবোঝাই মিনিবাসে আগুন, হাওড়া ব্রিজের উপর দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা গেল গোটা বাস