নিজস্ব প্রতিবেদন : একবালপুরে ৬০ নম্বর সুধীর বোস রোড়ের বহুতলে হামলার ঘটনায় মৃত্যু হল আরও একজনের। ওই ঘটনায় খুন হন এক মহিলা। হামলা চালায় মহিলারই এক আত্মীয়। সেই ঘটনায় এবার মৃত্যু হল ওই মহিলার ছোট মেয়ে তাইবার। তাঁর বড় মেয়ের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছুঁইছুঁই, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩,২৮১ জন 


উল্লেখ্য, গত শুক্রবার একবালপুরের ৬০ নম্বর সুধীর বোস রোডের এক বহুতলের একটি ফ্ল্য়াটে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সুলতান আনসারি নামে এক যুবক। হামলাকারী সুলতান হামলায় মৃত মহিলার স্বামীর খুড়তুতো ভাই। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে পারিবারিক বিবাদের জেরেই মা ও দুই মেয়েকে খুনের চেষ্টা করে সুলতান। পরে সে থানায় ধরা দেয়।


এদিকে, একবালপুর হত্য়াকাণ্ডের তদন্তে উঠে এসেছে খুন করার পর হায়দরাবাদে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃত সুলতান আনসারির। সেই মত টিকিটের ব্যবস্থা করা ছিল বলেও পুলিস জানতে পেরেছে। কিন্তু সেই প্ল্যান বদল করেই আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয় সুলতান আনসারি। 


প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, লোক দেখে ফেলেছিল সুলতানের ওই কাণ্ড। তাই পালিয়ে গেলে বড় সাজা হতে পারে ভেবেই থানায় আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। যদি তাতে সাজা কমে! উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে বড় ছুরি। এই ছুরি-ই খুনে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন-IPL 2020: করব, লড়ব, জিতব ... রাজস্থানকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় কিং খানের নাইটদের 


একই পরিবারের ৩ জনকে খুনের চেষ্টার পর খুনি নিজেই থানায় গিয়ে ধরা দেওয়ার ঘটনায় পুলিসও কিছুটা হতভম্ব হয়ে যায়। ঠিক কী কারণে মা ও দুই মেয়েকে খুনের চেষ্টা করা হয়, তা নিয়ে প্রথমে ধোঁয়াশায় ছিল পুলিস। পরে তদন্তে উঠে আসে পারিবারিক বিবাদের জেরেই মা ও দুই মেয়ের উপর হামলা চালিয়েছে ধৃত।