নিজস্ব প্রতিবেদন: সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। এবার 'করোনা যোদ্ধা'র (Covid Warrior) মর্যাদা পাবেন ভোটকর্মীরাও (Polling Wokers)। রাজ্যের সমস্ত ভোটকর্মীকে টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। প্রতিবার বাংলায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ সরকারি কর্মীকে ভোটের কাজে নিয়োগ করা হয়। পোলিং অফিসারদের নাম পেলেই টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে, জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একুশের বিধানসভা ভোট (Assembly Election 2021) প্রায় চলেই এল। রাজনীতির উত্তাপে ফুটছে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিনটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যেকোনও সময়ে নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হতে পারে! নির্বাচন কমিশন (Election Commission) তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এ রাজ্যে পুলিস ও প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরে ফেলেছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব। বাদ যায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিও। কারণ, ভোটের আগে বাংলায় পুলিস আধিকারিকদের বদলি, বুথের পরিকাঠামো ও নির্বাচনী ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, এইরকম কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের মতো বিষয়ে কমিশন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।  


আরও পড়ুন: আদিগঙ্গায় নেমে পার্শ্বশিক্ষকদের বিক্ষোভ, দড়ি নিয়ে টেনে তুলল পুলিস


কমিশন সূত্রে খবর, কোভিডের কারণে এবার রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত নির্বাচনের সময় একতলায় ছিল, এমন ২৯৫০টি বুথকে নিচের তলায় নামিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে আবার দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচিও চলছে জোরকদমে। কোভিশিল্ড (Covishield) আর কোভ্য়াকসিন (Covaxin)। ভারতে করোনা দুটি ভ্যাকসিনকেই ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাহলে ভোটকর্মীরাই বা বাদ যাবেন না কেন! তাঁদের অবিলম্বে টিকা দেওয়ার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে নির্দেশ নিল নির্বাচন কমিশন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আয়কর দপ্তরের যেসব কর্মী পোলিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের টিকার দেওয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। কমিশনের তরফে যদি বাকি পোলিং অফিসারদের নাম দেওয়া হয়, তাহলে তাঁদের নাম পোর্টালে নথিভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে।