নিজস্ব প্রতিবেদন: বিমানবন্দর কাণ্ডে রাজনীতি উত্তপ্ত হতেই তত্পর হল নির্বাচন কমিশন। ১৫ - ১৬ এপ্রিল রাতে দমদম বিমানবন্দরে অভিবাসন চত্বরে ঠিক কী হয়েছিল তা জানতে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিনকয়েক ধরেই বিমানবন্দরে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে হেনস্থার অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতি। রবিবার রাজ্য সদর দফতের সাংবাদিক সম্মেলনে ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলে বিজেপি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের জন্য আলাদা আইন চালুর ব্যবস্থা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। 


 



পালটা সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সত্যিই তাঁর স্ত্রীর কাছে নিষিদ্ধ কিছু ধরা পড়লে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করুক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অভিষেকের অভিযোগ, নিষিদ্ধ কিছু থাকলে কেন তখনই তাঁর স্ত্রীকে আটক করে জিনিসগুলি বাজেয়াপ্ত করল না শুল্ক বিভাগ। 


লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় ফের অমিত শাহ, কোথায় কোথায় সভা জেনে নিন


সোমবার ঘটনাটি নিয়ে ফের সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি। এবার যদিও দিল্লিতে। কাস্টমসের এফআইআর উল্লেখ করে এদিন স্বপন দাশগুপ্ত দাবি করেন, যেন তেন প্রকারে পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধি লাগুর পরও যে সমস্ত পুলিস আধিকারিকরা তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের নির্দেশে এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছেন তাঁদের নিরপেক্ষা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এক কথায় তাঁরা দলদাসে পরিণত হয়েছেন। তাঁদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে হবে। 


গোটা ঘটনা নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে দু'পক্ষই। এরই মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্যর কাছে গোটা বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলল কমিশন।