নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার সকালে খুলে দেওয়া হল উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ই এম বাইপাস থেকে বিমানবন্দরগামী রুট। শুরু হল যান চলাচল। সেতুর নিরাপত্তা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এবার থেকে আর দেড় টনের বেশি ওজনের গাড়ি এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে পারবে না। শুধু ২ চাকা ও ৪ চাকার ছোটো গাড়িগুলি এখন থেকে যেতে পারবে। আগে উড়ালপুল দিয়ে ছোটা হাতি ও ৪০৭ গাড়িও যেত। কিন্তু, এখন থেকে এই গাড়িগুলি আর যেতে পারবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বৃহস্পতিবার উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিশ্ববাংলা সরণি থেকে কাজি নজরুল ইসলাম সরণি-মুখি শাখা খুলে দিতে সবুজ সংকেত দেন ইঞ্জিনিয়াররা। তবে বিশ্ব বাংলা সরণিমুখি শাখা কবে চালু হবে তা অনিশ্চিত। উলটো দিকের অংশে কবে যান চলাচল শুরু হবে তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি তাঁরা। খুব তাড়াতাড়ি কাজ হলেও অন্তত ২ মাস বন্ধ থাকবে উড়ালপুলের বিমানবন্দর থেকে কলকাতাগামী অংশ।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র পায়ার ক্যাপেই নয়, ফাটল ধরেছে সেতুর একাধিক অংশে। সেই সব জায়গায় ইস্পাতের স্তম্ভ দিয়ে ভারবহনের ব্যবস্থা হবে। প্রথমে পায়ার ক্যাপে ইস্পাতের পাত জড়িয়ে শুরু হবে মেরামতির কাজ। ধীরে ধীরে হাত দেওয়া হবে অন্যান্য জায়গাতেও। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফাটল ধরা পড়ে ব্যস্ত উল্টোডাঙা উড়ালপুলে। প্রসঙ্গত, ২০১৩য় উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে পড়েছিল। সেই অংশটি মেরামত করা হয়েছিল। সেখানেই ফের ফাটল ধরা পড়ে।


আরও পড়ুন, কলকাতা বিমানবন্দরে স্পাইসজেট কর্মীর 'অস্বাভাবিক' মৃত্যুর তদন্তে ডিজিসিএ


ওদিকে বিমানবন্দর থেকে কলকাতামুখী যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কেষ্টপুর খালের ওপর একটি বেইলি ব্রিজ তৈরির কথা ভাবছে কেএমডিএ। বেইলি ব্রিজ দিয়ে কাজি নজরুল ইসলাম সরণি দিয়ে বিধাননগরের ঢুকবে ছোট গাড়ি। পিএনবি হয়ে সেই গাড়ি পৌঁছে যাবে বিশ্ব বাংলা সরণিতে।