নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্রিজের স্বাস্থ্য অত্যন্ত বেহাল। বিপজ্জনক দশায় টালা ব্রিজ। আর তাই টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলে নতুন ব্রিজ তৈরির পক্ষেই মত দিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, 'পুরনো ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরি করাই ভালো।' এখন নতুন ব্রিজ তৈরি করতে সময় লাগবে ৩ বছর। এই সময়কালে যান চলাচলের নতুন রাস্তা কী হবে? সেই সবকিছু খতিয়ে দেখেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, টালা ব্রিজের দুর্বল অংশ ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছে রাইটস। কিন্তু রাজ্য সরকার আরও একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার পরামর্শ নিতে চায়‌। আগামীকাল মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরই চৃড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ভারবহন ক্ষমতা কমেছে, তাই এবার হাইট বার বসতে চলেছে বিটি রোডের ওপর টালা ব্রিজে। মঙ্গলবার পূর্ত দফতরের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে একথা জানানো হয়। পূর্ত দফতর জানায়, টালা ব্রিজ দিয়ে ভারী যান চলাচলের ফলে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যাতে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকছে।  পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, '৮ ফুট উঁচু হাইট বার বসানো হবে টালা ব্রিজের দুপারে। খরচ ধরা হয়েছে ২৬ লক্ষ টাকা। ২১ দিনের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে হাইট বার। এই হাট বারের নীচ দিয়ে শুধুমাত্র ছোট গাড়ি যেতে পারে।' সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে টালা ব্রিজে বাস চলাচল বন্ধ করতে পারে সরকার। বালি ব্রিজ দিয়ে ডানলপ হয়ে কলকাতা শহরে পণ্যবাহী যান ঢোকার পথও বন্ধ হবে।


আরও পড়ুন, ছাড়পত্র ছাড়াই রাজ্যের 'উদ্বোধন', ২৭-এ ফের বর্ধমান রেলব্রিজের উদ্বোধন করবে রেল


এরপরই টালা ব্রিজে গাড়ি চলবে কি না, সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ব্রিজ পরিদর্শনে যান গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স, রাইটস, রেল ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। ব্রিজ পরিদর্শনের পর চার সংস্থার প্রতিনিধিরা-ই নবান্নে রিপোর্ট দেয়। যাতেই সামনে আসে টালা ব্রিজ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ। ব্রিজ ভেঙে নতুন ব্রিজ তৈরির পক্ষে মত দেন তাঁরা। এদিকে, টালা ব্রিজের নীচে বহু মানুষের বাস। তাঁদের রেল ইয়ার্ডের পিছনে খালপাড়ে জায়গা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, সাহিত্য পরিষদ স্ট্রিটে একটি বাড়িও দেখা হয়েছে। লোকজনকে সেখানেও পুনর্বাসন দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।