জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতায় ইডেন হিন্দু হস্টেলের একটি ইফতারের ছবি হিন্দু অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এই অভিযোগে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সমালোচনা করে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের করা পোস্টে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইফতারের সময়ে তোলা একটি ছবি বিভিন্ন ট্যুইটে ঘুরছে। সেই ট্যুইটগুলিতে লেখা হয়েছে, ‘#ওয়েস্টবেঙ্গল আজ সন্ধ্যায়, কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে দাওয়াত-ই-ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। এই ইফতারে অধিকাংশ শিক্ষার্থী যোগ দেন। যদিও, এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে সরস্বতী পূজা করতে দেয়নি। সরস্বতী পূজার বিরুদ্ধে বাম ছাত্ররা নাকি প্রতিবাদ করেছিল। এটাই #ধর্মনিরপেক্ষতা।‘


 



পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির একজন মুখপাত্র, কেয়া ঘোষ, ইফতারের সময়ের দুটি ছবির একটি কোলাজ শেয়ার করেছেন এবং ট্যুইট করেছেন, ‘প্রেসিডেন্সি কলেজের ইডেন হিন্দু হোস্টেলে দাওয়াত-ই-ইফতার। মনে রাখবেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের মধ্যে সরস্বতী পূজার অনুমতি দেয়নি। তাঁরা জানিয়েছিল এটি প্রতিষ্ঠানের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ প্রকৃতির বিরুদ্ধে যায়।‘ পাশপাশি বিভিন্ন সংবাদ মাদ্যমেও এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল।


 



যদিও জানা গিয়েছে যে এই ইফতারের আয়োজন করা হয়েছিল ইডেন হিন্দু হস্টেলে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ইফতার আয়োজন করা হয়নি। এছাড়াও ইডেন হিন্দু হস্টেলে প্রতি বছরই সরস্বতী পূজা করা হয়। পাশপাশি এই ইডেন হিন্দু হস্টেল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থিত এবং এখানে প্রেসিডেন্সি ছাড়াও অন্যান্য জায়গার পড়ুয়ারাও থাকেন। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ইফতারের আয়োজন যেমন হয়নি তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সরস্বতী পুজোর অনুমতিও দেওয়া হয়নি। 


আরও পড়ুন: Parking Fee | Kolkata Corporation: পুরসভার পার্কিং ফি বৃদ্ধি একতরফা? মমতার রোষের মুখে মেয়র ববি!


প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের নেতা শুভজিত সরকার জানিয়েছেন, ‘ভুলভাল মিথ্যা রটিয়ে মানুষকে ভাগ করার কাজ ভুলেও করতে যাবেননা। যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করবেন সোজাসুজি বলছি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে। প্রেসিডেন্সি ইডেন হিন্দু হোস্টেলে গত জানুয়ারি মাসে মুসলিম ছাত্ররা সরস্বতী পুজো আয়োজন করে, এই মাসে হিন্দু এবং অন্যান্য অমুসলিম ছাত্ররা ইফতেয়ার পার্টি আয়োজন করেছে। দুটোর জন্যই বলার, বেশ করেছে। ওদের ইচ্ছা হয়েছে করেছে। এটাই তো ভারতবর্ষের আসল চিত্র, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ভেবে নয় সামাজিক উৎসব হিসেবে মানুষ এগুলো পালন করে এক হয়। দ্বিতীয় এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, প্রেসিডেন্সি বলে নয় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে যে কেন ধরনের ধর্মীয় আচার বিচার পালন করা উচিৎ নয় কারণ ক্যাম্পাসটা ধর্মীয় উৎসব পালন করার জায়গা নয়’।


আরও পড়ুন: Bidhannagar: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার এক


তিনি আরও বলেন, ‘ভারতবর্ষ একটা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তার অঙ্গ হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো সেই জায়গাগুলো ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য নয়। এই জায়গাগুলো বৈজ্ঞানিক, প্রগতিশীল চিন্তার বিকাশ ঘটানোর জায়গা। মানুষের ধর্মীয় আচার বিচার পালন করার অধিকার মৌলিক অধিকার কিন্তু সেটা এমন করে নয় যেখানে ধর্মীয় হানাহানি বা ধর্মীয় ভাগাভাগির পরিবেশ তৈরি হয়। দশমীর কোলাকোলি এর ঈদের কোলাকোলির মধ্যে আমি কোন পার্থক্য দেখিনা। মিথ্যা রটিয়ে জনগণের মধ্যে ভাগাভাগি করতে আসবেননা। নিজেদের ধর্মীয় বিচার পালন করুন অন্যদের বাধা দেবেননা, জোড় করবেননা সে অন্য ধর্মীয় আচার পালন করবে নাকি কিছুই করবেনা’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)