নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের নাম একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে। এবার পুরসভার টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে শহরের মাঝারি মাপের নির্মাণ সংস্থারগুলিকে প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসছে। নিজেকে পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা জাল ফাঁদেন দেবাঞ্জন, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ৩জন প্রমোচার যোগাযোগ করেছে পুলিসের সঙ্গে। এই তিনজনের কাছ থেকে ৪০ লাখ, ৩০ লাখ ও ২৬ লাখ টাকা নিয়েছে ধৃত দেবাঞ্জন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, গতবছর মার্চ মাসেও দেবাঞ্জনকে জেরা করেছিল পুলিস। তার বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে চাকরির প্রতারণার অভিযোগ আসে। তখনই দেবাঞ্জনের বাবা-মা জানতে পারেন তাঁদের ছেলে আইএএস নন। গতকালই অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিস। বেশকিছু সরকারি দফতরের কাগজপত্র, ডেবিটকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়। কসবা ভ্যাকসিন কাণ্ডের জাল কত গভীরে? ভ্যাকসিন কিনতে চেয়ে সেরাম ইনস্টটিটিউটকে চিঠি দিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। জেরায় এমনটাই দাবি করেছেন। 


আরও পড়ুন, ঘুঁটি সাজাচ্ছে BJP! ভুয়ো ভ্যাকসিন ইস্যুতে সরগরম হতে পারে বিধানসভা


অন্যদিকে, জি ২৪ ঘণ্টার অন্ততর্দন্তে উঠে এল সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ভুয়ো চাকরিতে নিয়োগ করিয়ে সুস্মিতাকে দিয়েই ভ্যাকসিনের হিসেব রাখত দেবাঞ্জন। সু্স্মিতা বলেন, ''দেড়মাস মতো কাজ করি। ভ্যাকসিনেসন চলছিল বলতেন নামগুলো লিখে রাখত।'' সুস্মিতার দাবি তিনি নিজেই প্রতারিত। কর্পোরেশনের ভুয়ো অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার দিয়ে তাকে কাজে নিযুক্ত করা হয়। কসবার ভ্যাকসিনেসন কেন্দ্রেও ছিলেন সুস্মিতা। 


প্রসঙ্গত, ছোটকা নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে সুস্মিতার সঙ্গে পরিচয়  হয় দেবাঞ্জনের। পুরসভার নামে দেবাঞ্জনের কাছে চাকরি পেয়েছিলেন সুস্মিতা। তিনি এই জালিয়াতি বিষয়ে জানতেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁর এই কার্যকলাপ দেখেও কেন কর্মীদের মনে প্রশ্ন জাগল না, তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা।