নিজস্ব প্রতিবেদন: কথায় বলে যম-জামাই-ভাগনা তিন নয় আপনা। সেই প্রবাদই সত্য়ি করেছে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেব। প্রতারণা যেন তাঁর হাড়ে মজ্জায়। কারও সঙ্গেই জালিয়াতি করতে বাকি রাখেনি ধৃত। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন তাঁর নিজের ছোট মামা সন্দীপ মান্না।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ড হারবারের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গোপাল দাস পাড়ায় বাস করেন সন্দীপ বাবু। ছবি আঁকেন এবং এলাকায় একটি ছোট নাট্য সংস্থা চালান। অভিযোগ, তাঁর সেই ভালবাসাকে হাতিয়ার করেই প্রতারণার জাল বিস্তার করেছে দেবাঞ্জন দেব। Zee ২৪ ঘণ্টাকে ওই ব্যক্তি জানান, ছবি আঁকা নিয়ে উচ্ছ্বাকাঙ্খার জন্য ২০১৯  সালে কলকাতায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেখানে বহু গুণী ব্যক্তিও এসেছিলেন। এরপরই দেবাঞ্জন তাঁকে জানায়, তাঁর কাজে খুশী হয়ে তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নাকি তাঁকে সার্টিফিকেট পাঠিয়েছেন। এমনকি নবান্ন থেকেও নাকি তাঁকে স্মারক দিয়েছে। 


আরও পড়ুন: Suvendu-র গুরুত্ব বৃদ্ধি! বেনজির সিদ্ধান্তের পথে রাজ্য বিজেপি


আরও পড়ুন: বহু বছর আগেই প্রতারণায় হাতেখড়ি, 'রঞ্জিত মল্লিক'-এর সঙ্গেও জালিয়াতি করেছে দেবাঞ্জন


এমনকি রাজ্য চারুকলা কেন্দ্রের সদস্য হিসেবে নিয়োগের একটি চিঠি সন্দীপ বাবুর হাতে তুলে দেয় দেবাঞ্জন। ওই সাম্মানীক পদে সরকার তাঁকে নিয়োগ করেছে বলে জানায় ভুয়ো IAS। ভাতা বাবদ মাসিক ১০ টাকাও তাঁকে দেওয়া হত। তবে ২০২১-এর এপ্রিল মাসের পর সেই ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। সন্দীপ বাবুর আশঙ্কা, রাজ্যপালের নামে দেওয়া সার্টিফিকেটে কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর স্বাক্ষরও হয়ত জাল। এমনকি নবান্নের স্মারক নিয়েও হয়ত জালিয়াতি করেছে তাঁর ভাগ্নে। আক্ষেপের সুরে Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, 'আমার মতো শিল্পীর সঙ্গেও জালিয়াতি করেছে ও'।