নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে বুধবার অশোককুমার রায় নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আজ ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালতে ধৃতের আইনজীবীরা জানান, দেবাঞ্জনের কাছ থেকে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তাঁদের মক্কেল। পরিবারের সদস্য এবং তাঁর কর্মচারীদেরও একই ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন। দেবাঞ্জন অশোক রায়ের থেকে ৪৭ হাজার ৫০০ টাকাও নিয়েছিল। এই প্রমাণকে হাতিয়ার করেই অশোক রায়ের জামিনের সপক্ষে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কসবায় দেবাঞ্জনের অফিসের মালিক বুধবার অশোককুমার রায়কে বিরাটি থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজ ধৃতকে আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী সৌরিণ ঘোষাল অভিযোগ করেন, সব জেনেও দেবাঞ্জনকে কসবায় অফিস ভাড়া দিয়েছিলেন ধৃত। প্রতারকের হয়ে খবরও প্রকাশ করতে সাহায্য করেছিলেন। ফলে প্রতারণা কাণ্ডে তিনিও জড়িত।


আরও পড়ুন: 'খামখেয়ালি লকডাউন, মানুষের স্বার্থে লোকাল ট্রেন চালান', রেলমন্ত্রীকে চিঠি Swapan-র


জবাবে ধৃতের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, ‘দেবাঞ্জনের থেকে ওই ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন অশোককুমার রায়। কোভিশিল্ড ও স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন নেন তিনি। তিনি নিজেও ওই ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। পরিবার সদস্য ও কর্মীদের দিয়েছিলেন। পরে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করলে জানতে পারেন, শরীর কোনও অ্যান্টিবডি তৈরিই হয়নি। এমনকি, দেবাঞ্জন অশোক রায়ের থেকে ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছিল।' এরপরই ধৃতের আইনজীবীরা প্রশ্ন করেন, যদি তিনি জানতেন ওই ভ্যাকসিন জাল, তবে কী অশোক রায় ওই ভ্যাকসিন নিতেন?’ তাঁরা এও বলেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়া অপরাধ হলে, তাহলে তো সবার আগে অপরাধী মিনি চক্রবর্তী’।


আরও পড়ুন: জাল নথি দিয়ে কীভাবে অ্যাকাউন্ট? Fake Vaccine কাণ্ডে নজরে বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভূমিকা


এমনকি আদালতে দেবাঞ্জনকে দেওয়া ৪৭ হাজার টাকা এবং অফিস ভাড়া দেওয়ার নথিও জমা দেন অশোক রায়ের আইনজীবীরা। তাঁরা জানান অফিস ভাড়া নেওয়ার সময় কলকাতা কর্পোরেশনের লাইসেন্স বিভাগের নথি দেখিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। কেএমসি-র ‘Institute of Urban Planning Department'-এর নাম করে ১১ মাসের চুক্তিতে ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কসবায় অফিস ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি।