নিজস্ব প্রতিবেদন: স্রেফ সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিই নয়, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের প্রধান  ফিরহাদ হাকিমকেও নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। পুরসভার সঙ্গে দেবাঞ্জনের যোগসূত্র কী? সব দফতরকে এবার যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভুয়ো ভ্য়াকসিনকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। বৃহস্পতিবার কসবার অফিসে বসিয়ে অভিযু্ক্ত দেবাঞ্জন দেবকে ৫ ঘণ্টা জেরা করেন তদন্তকারীরা। জেরায় কী জানা গিয়েছে? সূত্রের খবর, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, কোভিড অতিমারি শুরুতেই  মাস্ক, পিপিই কিট, স্যানিটাইজারের কারবার শুরু করে সে। কিন্তু অসৎ উপায়ে চলা এই কারবারে ধরা পড়ার ভয়ও ছিল যথেষ্টই। সেকারণে কলকাতা পুরসভার প্রভাবশালীদের কাছাকাছি আসারও সুযোগ খুঁজতে থাকে দেবাঞ্জন। এমনকী, একসময়ে পুরসভার প্রবেশের পথ সুগম করে ফেলে এই ভুয়ো IAS অফিসার!


আরও পড়ুন: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক: Dilip, CBI তদন্তের দাবি সায়ন্তনের


কীভাবে? সূত্রের খবর, প্রথমে এক চিকিৎসক নেতার সঙ্গে ভাব জমায় দেবাঞ্জন। এরপর নিজেকে কন্ট্রাক্টর পরিচয় দিয়ে পুরসভার প্রায় সমস্ত আধিকারিকের ঘরে শুরু হয় অবাধ বিচরণ। যোগাযোগ এতটাই বেড়ে যায় যে,  কলকাতা কর্পোরেশেনর (KMC) বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরীর সই জাল করে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টও খুলে ফেলে বেসরকারি ব্য়াঙ্কে! তদন্তকারীরা যখন ধৃতের এই বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখছেন, তখন ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে তৎপর হল কলকাতা পুরসভাও। দেবাঞ্জন যোগের সন্ধানে যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হল পুরসভা সমস্ত দফতরকে।


আরও পড়ুন: সেন্সর বোর্ডের পাস করা ডায়লগ বলা কি অপরাধ, সওয়াল মিঠুনের আইনজীবীর


এদিকে, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান ফিরহাদ হাকিম। বিজেপি তাঁর কটাক্ষ, 'ওদের হাতে তো আর কিছু নেই, ওটাই আছে। কুমিরের ছানার মতো দেখায়। পুলিস তদন্ত করছে। অভিযুক্ত ধরা পড়েছে'।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)