নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৫ ই মে বিশ্ব পরিবার দিবস। এবার যেন দিনটা আর‌ও বেশি অর্থবহ। বিশ্ব পরিবার হোক বা পরিবারের বিশ্ব যেজন আছেন মাঝখানে তিনি মা।
মা : সে ঘরেই হোক বা বাইরে এখন তিনিই ভরসা।তাই বিদেশ থেকে ভিডিও কলে মা কে দেখেন সাহেব মেমেরা আবার বাড়ির মা কে নিয়ে সেলফি তুলে এই কঠিন সময়েও হোম ডেলিভারি হয় স্পেশাল কেক।
      ম্যানুয়েলা ডি সিলভা পর্তুগাল। ক্যাথরিন গ্যারি ফ্রান্স। ফ্রান্সিসকো লোপেজ স্পেন। গুস্তাভো উরুগুয়ে। আরও অনেকে। সবাই জানতে চান মাদার দুর্গার কথা। প্রত্যেক বছর নিয়ম করে কলকাতায় আসেন দুর্গা প্রতিমা দর্শন করতে । ক্যামেরাবন্দি করে নিয়ে যান কুমোরটুলি সহ কলকাতার নামিদামি প্যান্ডেল গুলোকে। এবছর হয়তো আসা হবে না। কলকাতা নিবাসী জয়দীপ মুখার্জি এবং তার সহধর্মিনী সগুনা মুখার্জি কলকাতার দুর্গাপুজো কে বিভিন্ন দেশে তুলে ধরেন।  জানেন না এবছর কলকাতা পুজো কে ক্যামেরাবন্দি করে বিদেশে পাড়ি দিতে পারবেন কিনা। আজ মাদার্স ডে। আমাদের এই মা বিশ্ব মাতা।  করোনার এই দুঃসময়ে দুর্গা মায়ের খোঁজ নিচ্ছেন দেশ বিদেশে তার ভালোবাসার সন্তানরা। কুমোরটুলি থেকে লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে। বায়না হয়নি এখনো সব ঠাকুরই  স্টুডিওতেই। লকডাউনে মন খারাপে আরো মন খারাপ । অনলাইনে মা কে দেখে আঁধারেও আশার আলো।


স্রেফ ট্রেনের টিকিটেই গেছে ৯৬০ টাকা! নিঃখরচায় কোথায় বাড়ি ফেরাল সরকার? প্রশ্ন বেঙ্গালুরু ফেরত শ্রমিকদের
অন্যদিকে মায়ের মুখের হাসি দেখতে অভিনব উদ্যোগ।
কে কে ভাবেন মায়ের জন্য। কেক - এ ভাবতে পারেন এবার। মাদার্স ডে স্পেশাল কেক। ঘরে বসে প্রাইস দিয়ে নয় প্রাইজ হিসেবে ।  লক ডাউন । ঘরবন্দী সংসার। কাজের লোক অনুপস্থিত। সব মা।  তার মধ্যে যা মিলছে তা দিয়েই অনবদ্য খাওয়া দাওয়া। সেই মাকে কিছু দেবার পথ তো বন্ধ। নিজের হাতে একদিন রেঁধে? উল্টো কেস হয়ে যাবে। উপায় দিলেন এক পুরনো বাঙালি কেক সংস্থা।
মায়ের সঙ্গে সেলফি তুলে অনলাইনে পাঠান কপাল ঠুকে। এরকম অসংখ্য ছবি এসেছে অনলাইনে। মায়ের সঙ্গে ছবি। বাছবেন নামীদামী ফটোগ্রাফাররা।  সেই ছবি দেওয়া কেক প্রাইজ হয়ে চলে আসবে বাড়ি। কেকের ওপর ক্রিমের পেলব প্রলেপ। তার আবার নানান ফ্লেভার। ম্যাংগো স্ট্রবেরি বাটার স্কচ। মায়ের জন্য চকোলেট। তার ওপর সুগার পেপারের ওপর স্মৃতির ছবি। কাটতেই ইচ্ছে করবে না। চোখ জুড়নোর স্বাদ। স্বাদ ভালবাসার।
   আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেন জয়দীপ ও স্বগুনা । প্রতিমা শিল্পী মিন্টু সালের সঙ্গে একমত তাঁরা। বিদেশের মানুষের সঙ্গে আত্মীয়তা তৈরি হয়েছে। বসুধৈব কুটুম্বকম্।
এদিকে কেক শিল্পী প্রসেনজিৎ বসুর কথাতেও এক সুর । সাড়া যা পাওয়া যাচ্ছে তাতে পরিষ্কার ফ্যামিলি ফিলিং বেড়েছে লক ডাউনে।