নিজস্ব প্রতিবেদন : জুলাইয়ে ছিল জন্মদিন। তবে দিন গোনা শুরু হয়ে গিয়েছিল জানুয়ারি থেকেই। স্নেহের ভাইঝির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পছন্দের গোলাপি জ্যাকেট কিনে এনেছিলেন কাকা। কিন্তু জন্মদিনটা আর এল না ছোট্ট ঐত্রেয়ীর জীবনে। তাই  সেই গোলাপি জ্যাকেট, জন্মদিনের জামা সবই ঐত্রেয়ীর নিথর দেহের সঙ্গে সত্কার করেছে পরিবার। সত্কার করা হয়েছে ঐত্রেয়ীর পছন্দের খেলগুলিরও।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'শিশুরা শুধু মরতে ভালবাসে' লিখে নিজেও চিতায় উঠেছেন নবারুণ। কিন্তু কবির মরলেই তাঁর বিলাপ কি মিথ্যে হয়? তাই মায়ের কোল খালি করে চলে গিয়েছে আড়াই বছরের ঐত্রেয়ী। যে বাড়িটা কদিন আগেও ব্যস্ত থাকত একরত্তির শিশুর দস্যিপনায়। কান পাতলেই শোনা যেত খিলখিলিয়ে হাসি। আজ সেই বাডি়তে শুধুই হাহাকার। গলার কাছে দলা পাকিয়ে আসা কান্না ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাড়ির একরত্তি শিশুর অকালমৃত্যু গোটা বাড়িটারই জীবনীশক্তিটাই যেন কেড়ে নিয়েছে।


আরও পড়ুন, ভরসার হাত, আমরিতে মৃত শিশুর বাবা-মাকে সুবিচারের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর


তাঁদের সন্তানের মৃত্যুতে বিচার চান বাবা, মা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মতো স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়তী সেনগুপ্তের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের আর্জিও জানিয়েছে মৃত শিশুর পরিবার। আমরিতে জয়তী সেনগুপ্তের অধীনেই চিকিত্সাধীন ছিল ঐত্রেয়ী। পাশাপাশি সেদিন রাতে ডিউটিতে থাকা চিকিত্সকের রেজিস্ট্রেশনও বাতিলের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।