`কেন্দ্র কাউকে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে`, ATM জালিয়াতি নিয়ে বিধানসভায় দাবি ফিরহাদের
`আধার আর মোবাইল লিঙ্ক করব না। কেন্দ্র কাউকে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাড়িতে টাকা রাখলে নোট বন্দি, আর ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে...`
নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা শহরজুড়ে এটিএম জালিয়াতির ঘটনার আঁচ এসে পড়ল বিধানসভাতেও। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লুট প্রসঙ্গে এদিন বিধানসভায় মুখ খুলল তৃণমূল-বাম উভয়পক্ষ। টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সরকার-বিরোধী একযোগে নিশানা করল কেন্দ্রকে।
এদিন বিধানসভায় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। উদ্বেগ প্রকাশ করেন, একের পর এক জালিয়াতির ঘটনায়। বলেন, "ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা আর থাকছে না। আমরা উদ্বিগ্ন।" এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? জানতে চান তিনি। সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্নে জবাব দিতে ওঠেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় সরাসরি কেন্দ্রকে 'কাঠগড়ায়' তোলেন তিনি। কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে ফিরহাদ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বারবার এটাই বলেছেন। কেন্দ্রের ব্যাপার এটা। ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে নিয়ে নেবে।" এই কথার সূত্র ধরেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ফিরহাদ হাকিয়ে অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সাধারণ মানুষের টাকা লোপাট করে দিচ্ছে। বলেন, "ব্যাঙ্কের টাকা নিয়ে চিটিংবাজি চলতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী এইজন্য বলেছিলেন, আধার আর মোবাইল লিঙ্ক করব না। কেন্দ্র কাউকে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাড়িতে টাকা রাখলে নোট বন্দি, আর ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে চিটিংবাজরা নিয়ে নিচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, এটিএম জালিয়াতি নিয়ে শনিবার থেকে একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করে যাদবপুর থানায়। রবিবার মোট ১৪টি এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়ে। সোমবার অন্তত ১০ থানায় এসেছেন অভিযোগ জানাতে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকরা অভিযোগ করেন, দিল্লির এটিএম থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। যাদবপুর থানা ছাড়াও কড়েয়া থানা এলাকাতেও এটিএম জালিয়াতির খবর মেলে।
আরও পড়ুন, অত্যাধুনিক স্কিমিং মেশিন দিয়ে তথ্য চুরি, এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়
জালিয়ারতির খবর সামনে আসতেই নড়চড়ে বসে কলকাতা পুলিস। ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানা থেকে তদন্তভার হাতে নিয়েছে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ। এটিএম কাণ্ডের তদন্তে একটি বিশেষ টিমও গঠন করেছে কলকাতা পুলিস। ব্যাঙ্ক ফ্রড ও সাইবার শাখার অফিসারদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে টিম। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও। লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিসের একটি দল দিল্লি গিয়েছে