নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঙালির ঐতিহ্য ধুতি আর পাঞ্জাবি। কলকাতার মেয়র পদে শপথগ্রহণের সময় পোশাক হিসেবে তাই ধুতি-পাঞ্জাবিকেই বেছে নিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু পুরমন্ত্রীর কোনও ভালো জুতো ছিল না! এদিন সকালে তাই একজোড়া নতুন জুতো কেনেন ফিরহাদ হাকিম। পুর নির্বাচনে জয় ঘোষণা ছিল সময়ের অপেক্ষা। ফলাফল ঘোষণার পরই সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি আর নতুন জুতোয় সজ্জিত হয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে শপথ নিলেন ফিরহাদ হাকিম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শপথগ্রহণের পর পুরসভায় মেয়রের জন্য নির্দিষ্ট কক্ষে চলে আসেন ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, মেয়ে, জামাই সবাই। বেশ খানিকক্ষণ চলে নতুন মেয়রকে শুভেচ্ছা জানানোর পালা। এরপরই মেয়রের ঘরে সাংবাদিক বৈঠক করেন নতুন মেয়র। তিনি জানান, শপথগ্রহণের পর তাঁকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী।


নতুন মহানাগরিক বলেন, নেত্রী বিশ্বাস করে তাঁকে দায়িত্ব সঁপেছেন। কলকাতাবাসীকে নাগরিকজীবনের সমস্তরকম পরিষেবা দিতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। কলকাতার যেকোনও এলাকায় যেকোনও নাগরিক সমস্যা তাঁকে যাতে সহজে জানানো যায়, সেজন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও এদিন দেন ফিরহাদ হাকিম। ব্রিজ ভাঙা, জল জমা, লাইট জ্বলছে না প্রভৃতি যেকোনও ধরনের সমস্যা এলাকার নাম দিয়ে ৯৮৩০০৩৭৪৯৩ এই নম্বরে জানাতে বলেন তিনি।


দায়িত্ব গ্রহণ করেই নিয়েই কলকাতা শহরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একাধিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন ফিরহাদ হাকিম। শহরের সবুজায়নে উদ্যোগী হলে করছাড়ের কথা ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, বাড়ির জমিতে গাছ লাগালে কর ছাড় পাওয়া যাবে। মানে, কারও যদি ৫ কাঠা জমি থাকে। সেখানে ৩ কাঠা জমিতে বাড়ি আর বাকি ২ কাঠা জমিতে আর্বান ফরেস্ট্রি করা হয়, তবে ওই ২ কাঠা জমির ৯০ শতাংশ কর ছাড় মিলবে।


আরও পড়ুন, বিয়ে করে বউ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই বাঁধল বিপত্তি! ঘোর বিপদে নব দম্পতি


সবুজায়নের পাশাপাশি ওয়েস্ট রিসাইক্লিং-এর উপরও জোর দেন তিনি। ইতিমধ্যেই নিউটাউনে এই পরিকল্পনার উপর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বেই শহরের অন্যত্র বিভিন্ন বহুতলের ক্ষেত্রে বর্জ্য দিয়ে সার তৈরির প্রক্রিয়া চালু করা হবে। বৃষ্টি হলেই টালিগঞ্জ, যাদবপুর, বেহালাবাসীর গুরুতর সমস্যা জল। জলবন্দি জীবনে নাভিশ্বাস ওঠে এই এলাকার মানুষের। সেই সমস্যারও অবিলম্বে সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন ফিরহাদ হাকিম। কলকাতাকে লন্ডন বানানোর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন সত্যি হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে জানান নতুন মেয়র।