নিজস্ব প্রতিবেদন: 'অতিমাত্রায় বিজেপি। কমিউনাল টু দি পাওয়া ইনফিনিটিতে চলে গিয়েছে (Communal to the power infinity)'। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ নয়, বরং পুরভোটে জয়ের পর অভিমানের সুর ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) গলায়। Zee ২৪ ঘণ্টার 'কলকাতার রায়' অনুষ্ঠানে অকপট স্বীকারোক্তি, 'কষ্ট হত'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একদা সতীর্থ, এখন রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে। একুশের বিধানসভা আগে দলবদল। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerje) হারিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফিরহাদ হাকিম কিন্তু এখনও তৃণমূলনেত্রীর 'বিশ্বস্ত সৈনিক'। একুশে ভোটে স্রেফ জেতাই নয়, ফের জায়গা পেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রিসভায়ও। 


আরও পড়ুন: Ratna On Sovan: 'মেয়র শোভন ভালো, স্বামী শোভন খারাপ'


বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর ফিরহাদকে বারবার নিশানা করেছেন শুভেন্দু। কখনও 'মিনি পাকিস্তান বলা মন্ত্রী' বলে, তো কখনও আবার তাঁর 'দেশপ্রেম' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যখন এই কথাগুলি শুনতেন, তখন মনে মধ্যে কতটা রক্ত ঝরত? Zee ২৪ ঘণ্টার 'কলকাতার রায়' অনুষ্ঠানে 'অভিমানী' ফিরহাদ হাকিম বললেন, 'কষ্ট হত। আর এমন একজন বলতেন, যার সঙ্গে ছোটবেলা থেকে সম্পর্ক। তার মুখ থেকে যখন শুনতাম, তখন মনে হত ছোটবেলার সম্পর্ক বলে কিছুই নেই! যার বাড়িতে গিয়েছি, সে আমার বাড়িতে এসেছে। এত ভালো সম্পর্ক! স্রেফ রাজনৈতিক অবস্থান বদলেছে বলে এমন অপমান করবে'?


 



পোড়খাওয়া নেতা তৃণমূল নেতা। দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর কলকাতা পুরসভার মেয়র হন ফিরহাদ হাকিম। এবারও পুরভোটে জিতেছেন। এমনকী, মহানাগরিক হওয়ার দৌঁড়েও প্রথম নামটিই তাঁরই। তাহলে এদিন ফল ঘোষণার এতটা আবেগপ্রবণ হয়ে গেলেন কেন? ফিরহাদের জবাব,  'নিজের দেশের নাগরিক হিসেবে আমার দেশকে ভালোবাসি। দেশ আমার মা। সেই মা-কে নিয়ে প্রশ্ন তুললে, তার থেকে বড় অপমান কিছু হয় না। আমি আমার মাকে ভালোবাসি, সেটি নিয়ে তোমার কাছে কৈফিয়ত দেব, বারবার পরীক্ষা দেব! শুধুমাত্র অন্য ধর্মে জন্মেছি বলে পরীক্ষা দিয়ে যেতে হবে! এটা অত্যন্ত অপমানজনক। ভীষণ গায়ে লাগে। সেই রায়টা কলকাতার মানুষ দিয়েছে, আমার ওয়ার্ডের মানুষ দিয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমাকে জবাব দিতে হয়নি'।