নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আক্রান্ত হয়ে একমো সাপোর্টে ছিলেন টানা ১০৬ দিন। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর শরীরে সফলভাবেই ফুসফুস প্রতিস্থাপন করলেন চিকিৎসকরা। রাজ্যে এই প্রথম। রোগী কেমন আছেন? শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে বিপদ কাটেনি এখনও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘড়িতে তখন দশটা। গুজরাটের সুরাটের এক ব্যক্তি মরণোত্তর ফুসফুস দান করেছিলেন। গতকাল রাতে আকাশপথে সেই ফুসফুস চলে আসে কলকাতা। কেন? মেডিকা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বছর ছেচল্লিশ এক ব্যক্তি। সম্প্রতি করোমুক্তও হন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুটি ফুসফুসই বিকল হয়ে গিয়েছিল। সেকারণে টানা ১০৬ দিন একমো সাপোর্টে রাখতে হয় রোগীকে। ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না! এদিন সকালে সুরাতে রোগীর ফুসফুস সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হল কলকাতা রোগীর শরীরেও। 



আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: বালুরঘাটের ‘বুবুন’ আজ রাজ্য BJP-র বড় পদে, একনজরে নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদার


তাহলে? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যেকোনও রোগীর শরীরেই ফুসফুস প্রতিস্থাপনে ঝুঁকি থাকে। কিন্তু, তিনি যদি কোভিড আক্রান্ত হন, তাহলে ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। প্রতিস্থাপনের ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


পরবর্তীতে কী কী সমস্যা হতে পারে
-----------------
ফুসফুসের দেওয়াল থেকে রক্তক্ষরণ
হৃদযন্ত্রের ডানদিকের অংশে দুর্বল হতে যেতে পারে
গ্রহীতার শরীর দাতার ফুসফুস প্রত্যাখান করতে পারে
ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ


এদিকে ফুসফুস প্রতিস্থাপনের তালিকায় নাম ওঠার পরেও রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা ছিল রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং।  হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর গুজরাটের হাসপাতালে একটি ফুসফুস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা প্রতিস্থাপন করা যায় না। কলকাতার আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আবার দাতার ভাইরাল হেপাটাইটিস ধরা পড়ে। ফলে তাঁর ফুসফুসটিও কাজে আসেনি। এবার শেষরক্ষা হবে তো? এখন সেটাই দেখার। 


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)