ছয় মিনিটের দৌড়! রাখালের `হৃদয়`কে সৈকতের `স্পন্দনে` বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে মেডিক্যাল কলেজ
সফল অস্ত্রোপচার। আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে রাখাল দাসকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের মুকুটে আরও এক নয়া পালক। এই প্রথম রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হল। এসএসকেএম থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হৃদযন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা রাস্তা গ্রিন করিডর করে মাত্র ছয় মিনিটে মেডিক্যাল কলেজ হৃদযন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন, মুখে অশ্রাব্য ভাষা, চাকরি খাওয়ার হুমকি! থানায় ঢুকে দাদাগিরি পদস্থ সরকারি অফিসারের
শুক্রবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে পূজালির বাসিন্দা বছর তিরিশের সৈকত লাট্টুর ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন চিকিত্সকেরা। এরপরই লাট্টু পরিবারের কাছে মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রাথমিক সংশয় কাটিয়ে একমাত্র সন্তানের মরণোত্তর অঙ্গদানে সম্মতি দেন সৈকত লাট্টুর বাবা স্বদেশ লাট্টু।
আরও পড়ুন, চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে গেলেন যাত্রী, নাটকীয় রক্ষা, দেখুন ভিডিও
রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অরগানাইজেশনের পক্ষ থেকে অঙ্গ গ্রহীতার খোঁজ শুরু হয়। খবর আসে, সৈকতের হৃদযন্ত্রের ম্যাচিং গ্রহীতা চিকিত্সাধীন রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজে। বছর ৩৮ বছরের রাখাল দাস হৃদযন্ত্রে গুরুতর সমস্যা রয়েছে। গত পনের-কুড়ি দিন ধরে তিনি ভর্তি আছেন মেডিক্যাল কলেজে। স্থির হয়, তাঁকেই সৈকতের হৃদযন্ত্র দান করা হবে।
আরও পড়ুন,"যাঁরা দূরে পড়ে আছেন আমায় চিঠি দিন, দেখি কোন নেতার কত কারসাজি?" চরম বার্তা মমতার
কিডনি এবং লিভার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে প্রতিস্থাপিত হলেও হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হয়নি। আজই প্রথম রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালে হৃদযন্ত্রে প্রতিস্থাপন করা হল। প্রসঙ্গত, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কয়েক মাস আগেই হার্ট প্রতিস্থাপন করার ছাড়পত্র পেয়েছে।
আরও পড়ুন, দাদার বন্ধুর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় বোন, কেউ ভাবতে পারেনি পরিণতি এমন নৃশংস হতে পারে!
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, ১২ জন চিকিত্সকের একটি দল রাখাল দাসের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার করে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রাখাল দাস সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।