ওয়েব ডেস্ক: রজত মজুমদারকে পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। NRS হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ায় পর আজ আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার সারদা কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পরেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন রজত মজুমদার। তাঁকে ভর্তি করা হয় NRS মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু, একাধিক ডাক্তারি পরীক্ষায় তাঁর শরীরে কোনও অসুস্থতা ধরা পড়েনি।  তিনবার ECG করা হয়েছে তাঁর। এছাড়াও রজত মজুমদারের সিটি স্ক্যান ও মস্তিষ্কের MRI করা হয়েছিল। সেইসব রিপোর্টও নর্মাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও, তাঁর মস্তিষ্কে কয়েকটি ছোট ছোট ব্লাড ক্লট ধরা পড়েছে। চিকিত্‍সকদের মতে সেইসব ক্লট বেশ পুরনো, এবং তার থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। ভবিষ্যতে কোনও শারীরিক অসুবিধা হলে তাঁকে আউটডোরে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড।


আদালতে দাঁড়িয়ে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ জানালেন প্রাক্তন পুলিসকর্তা রজত মজুমদার। রজত মজুমদারকে আজ সাতদিন হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় সিবিআই। জবাবে নিজের সওয়াল নিজেই করেন প্রাক্তন পুলিসকর্তা। শুরুতেই তিনি সুদীপ্ত সেনকে বলেন, তুমি কুণালকে বলেছ আমার হাত দিয়ে মুকুল-মমতাকে টাকা পাঠাতে? চালাকির একটা সীমা থাকা উচিত।  


তারপর সিবিআইয়ের উদ্দেশে রজত মজুমদার বলেন, "সাত দিন কেন, ৭০ দিন রাখুন। কিন্তু, আমার মুখ দিয়ে কিছুই বলাতে পারবেন না। আমার হাত দিয়ে মমতা-মুকুলকে টাকা পাঠানোর কথা প্রমাণ করতে পারবেন না। আমাকে পেটাতেও পারবেন না। সাত দিন পরে বলবেন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনি। বলবেন আমি মুকুল রায়কে চিনি। কিন্তু কিছুই প্রমাণ করতে পারবেন না। বলা হচ্ছে আমি ১০ কোটি টাকা নিতাম। আমি নিয়েছি ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। বলা হচ্ছে সুদীপ্ত সেন টাকা দিত।"


ভোটের আগে সেই টাকা আমি মমতা-মুকুলের কাছে পৌছে দিয়েছি। কিচ্ছু প্রমাণ করতে পারবেন না। আমাকে রাজনৈতিক কারণে ধরা হয়েছে। যাতে বড় লোকেদের ধরা যায়। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। আমি দেখব দশ দিনে কী বলাতে পারেন। ২০১২ সালে কাজ ছেড়েছি। ১৩ মাস কনসালট্যান্ট ছিলাম। আমাকে অ্যারেস্ট করতে হলে ফক্স অ্যান্ড মন্ডলসের লিগাল অ্যাডভাইসার দেবাঞ্জন মণ্ডলকেও অ্যারেস্ট করতে হবে।