জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: তৃণমূল কংগ্রেস ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়াকে চোখাচোখা ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁকে একপ্রকার অপদার্থ বিচারপতি বলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বলতে পারবেন ভোটে লড়ব না!' অভিজিতকে নিশানা কুণালের
 
তৃণমূল সাংসদ বলেন, বহুদিন ধরেই বলে আসছি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে বিচার করছেন। আজ সেটা প্রমাণিত। দীর্ঘদিন ধরে ওঁর রাজনৈচিত সংস্রব ছিল। তাই উনি নিজের রাজনৈতিক চিন্তাভবনা নিয়ে প্রতিটি মামলার নিস্পত্তি করেছেন। উনি যত মামলার রায় দিয়েছেন তার মধ্যে বেশিরভাগ মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ কিংবা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। দেখাতে পারবেন না, নিয়োগ মামলা ছাড়া আর কোনও মামলায় কোনও রিপোর্টেড জাজমেন্ট দিয়েছেন। জাজমেন্ট দেওয়ার যোগ্যতাই কোনওদিন ওঁর ছিল না। বিচারব্যবস্থার একটি কলঙ্ক হয়ে গিয়েছিলেন উনি।


অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উনি কলকাতা হাইকোর্টের ডিগনিটি নষ্ট করেছেন। সুপ্রিম কোর্টও জানে উনি কী ধরনের রায় দেন। উনি যাকে তাকে যা তা বলতেন। পাড়ার যেমন মস্তান, পাড়ার রকবাজদের মতো কথা বলতেন। বলেন, কলার ধরে তুলে আনো। গুন্ডাটাকে ধরে আনো। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে উনি মন্তব্য করেছেন। এসব সুপ্রিম কোর্ট রয়েছে।  বিশিষ্ট আইনজীবী মুকুল রোহতগির বিরুদ্ধেও উনি কোর্ট বলেছিলেন। রেহতগি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট তা জানান। তার পর থেকে উনি চুপ করেছেন। অ্য়াডভোকেট জেনারেলকে বলছেন, কার বুটে জিভ লাগিয়ে আপনি অ্যাডভোকেট জেনারেল হয়েছেন তা জানি।  আপনার কথাবার্তা দেখে প্রমাণ হয় আপনার কোনও শিক্ষা সংস্কৃতি নেই।


কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, উনি আমার অরিজিন সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন। অর্থাত্ আমার বাবা-মাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা পরিবার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যে আমার বাবা-মাকে নিয়ে  প্রশ্ন তোলে তার শিক্ষা সংস্কৃতি কোথায় গেছে আপনারা জানুন। আমার বেড়ে ওটা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? নিজেকে দেখুন। সিপিএমের জমানায় উঠে এসেছেন। সিপিএমের দয়া দাক্ষিণ্যে বিভিন্ন  প্যানেলে ঢুকেছিলেন। একসময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী হয়েছিলেন। বিকাশদা আমার বিরোধী হতে পারে কিন্তু বিকাশদা ওকে প্রচুর সাহায্য করেছে। ও পুরোটাই সিপিএমের হাতে তৈরি। আজ বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। উনি আসলে একজন খরবুজ বিচারপতি। ভেতরটচা লাল। কলকাতা হাইকোর্টের সবচেয়ে অপদার্থ বিচারপতি যদি কেউ থেকে থাকেন তাহলে তাঁর নাম অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।


অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে কল্য়াণ বলেন, উনি এক মহিলা সংবাদকর্মীকে হুমকি দিয়েছিলেন। উনি সিবিআইয়ের একটি টিমকে রাত সাড়ে আটটর সময়ে ডেকেছিলেন। ৭-৮ জনের একটি সিবিআই টিমের ২ অফিসার ছিলেন যারা ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। সেই স্বামী-স্ত্রীকে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে হবে। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে হবে। সিবিআই বলেছিল, আমরা আইন মোতাবেক চলব। এরকম নির্দেশ আপনি দিতে পারেন না। তারপর কাউকে ফোন করে ওই স্বামী-স্ত্রীকে টিম থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন। ওঁর মর্জিমতো সবকিছু করতে হবে। উনি কলকাতা হাইকোর্টের মর্যাদা নীচে নামিয়ে দিয়েছেন।     


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)