মৌপিয়া নন্দী: লাদেনকে ট্র্যাক করেছিল তার 'পূর্বপুরুষ'। এবার তারই উত্তরসূরীকে নিয়ে আসা হচ্ছে বাংলায়। চারটি বেলজিয়ান মেলিনয় প্রজাতির কুকুর আনা হবে রাজ্যে। 'শায়ানা' ও 'ওর্লান্ডো' কে গোয়ালিওরে এক বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। রবিবারই মধ্যরাতে কলকাতায় পৌঁছে যাবে তারা। তাদের প্রথমে 'সল্টলেক ডিয়ার পার্ক' আনা হবে, সেখানে তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। এরপর ওর্লান্ডোর ঠিকানা হবে গুরুমারা জাতীয় উদ্যান আর শায়ানা যাবে সুন্দরবনে। আরও দুটি কুকুর ভোপাল থেকে পাঁচ দিন পর আনা হবে।  সেগুলিকে উত্তরবঙ্গে পাঠানো হবে।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে নিয়ে আসার মূল কারণ

বস্তুত, গত কয়েক মাসে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে চোরাশিকারি ও অপরাধমূলক কাজ বেশি হচ্ছে। তা  মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বনদফতরের আধিকারিকদের। কারণ এই জঙ্গলই দিনদিন চোরাশিকারী ও পশু পাচারকারীদের করিডর হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে অপরাধীদের ধরতে বনদফতর এই প্রজাতির কুকুরের ওপরেই বেশি ভরসা রাখছেন। গোটা বিশ্বে এই প্রজাতির কুকুরকে যে কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হিসাবে সবচেয়ে যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ, মেলিনয়ের কর্মক্ষমতা ও বুদ্ধি অন্য যে কোনও প্রজাতির কুকুরের থেকে অনেক বেশি।




২০১৭ সালের ১ডিসেম্বর প্রথম বেলজিয়ান মেলিনয় প্রজাতির কুকুর রাজ্য বনদফতরের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য হিসাবে কাজ শুরু করে। করিম বক্সা জাতীয় উদ্যানে ইতিমধ্যেই নিজের কাজ দেখিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে।  এমনকি করিমের সাহায্য নিয়েছে স্থানীয় পুলিস প্রশাসনও। এলাকার বিভিন্ন এটিএম ডাকাতি ও চুরির ঘটনার তদন্তে অপরাধীদের খুঁজে বার করতে পুলিসকে সাহায্য করেছে করিম। মূলত বলা যায়, করিমকে দেখেই আরও এই প্রজাতির কুকুরকে নিরাপত্তার কাজে লাগানোর কথা ভাবছে বনদফতর।


বেলজিয়ান মেলিনয়
এই প্রজাতির কুকুরের উচ্চতা ২২-২৬ইঞ্চি
ওজন ২৭-৩৬ কিলোগ্রাম

কৃতিত্ব
ওসামা বিন লাদেন ও আবু বক্কর আল বাগদাদির ডেরায় ঢুকে তাদের খুঁজে বার করতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল

পাঠানকোট জঙ্গি হামলার সময়েও লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বার করতে এনএসজি-কে সাহায্য করেছিল এই প্রজাতির কুকুর
নবাগতরা বাংলার জঙ্গলে অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গেই রক্ষা করবে বলে আশাবাদী রাজ্য বনদফতরের পিসিসিএফ রবিকান্ত সিনহা।  জি মিডিয়াকে তিনি জানান, "আশা করছি নতুন চারটি কুকুর আসার ফলে জঙ্গলের অপরাধ অনেকটাই কমে যাবে, অপরাধীরা প্রহর গুনতে শুরু করবে। "