নিজস্ব প্রতিবেদন:   করোনায় রসদ জোগাতে ‘কল্পতরু’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন বিলির কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন। সেই মোতাবেক আজ, বুধবার সকাল থেকে রাজ্যের রেশন দোকানগুলিতে বিনামূল্যে রেশন বিলির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



রাজ্যের দরিদ্র পরিবারগুলিকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। AAY, SPHH , PHH, RKSY 1- এই চার শ্রেণির পরিবারই বিনামূল্যে রেশন পাবে। অন্যদিকে, RKSY 2 হিসাবেই একটি শ্রেণিকে ভাগ করা হয়েছে, যাঁরা ৯ টাকা কিলো দরে গম ও ১৩ টাকা কিলো দরে চাল পাবেন।



বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যের রেশন দোকানগুলিতে লম্বা লাইন। অবশ্যই প্রত্যেকে দাঁড়িয়েছেন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলি। অন্ততপক্ষে ঘরবন্দিদশায় কিছু দিনের জন্য হলেও রসদ জোগাতে পারবেন তাঁরা।


তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে। বিনামূল্যে রেশন পাবেন-এই আশায় বুধবার ভোর থেকেই রেশন দোকানের সামনে থলে হাতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন RKSY 2 ক্যাটাগরির সদস্যরাও। কিন্তু, বিনামূল্যে রেশন না পাওয়ায় কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে জেনেই তাঁরা ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে জানতে পারেন, কুপন ছাড়া রেশন দেওয়া হবে না। রেশন দোকান মালিকদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, ছোট কার্ড ছাড়া বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে না,  বড় কার্ডে পঞ্চায়েত থেকে কুপন আনতে হবে। টাকা দিয়ে রেশন কিনতে হবে। এই নিয়েই RKSY 2 ক্যাটাগরির সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।


আজ থেকে কলকাতা মেডিক্যালে জরুরি বিভাগে ফের রোগী ভর্তি শুরু, চালু ডে কেয়ারও


 প্রসঙ্গত, এই কঠিন পরিস্থিতি আড়াই লক্ষ মানুষকে রেশন কার্ড দেবে বলে কয়েকদিন আগেই ঘোষণা করেছে কলকাতা পুরসভা। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবিষয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে একটি বৈঠকেও বসেন। সেখানেই অস্থায়ী রেশন কার্ড দেওয়ার বিষয়টি স্থির হয়। এরফলে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেও বহু মানুষকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।


মূলত, লকডাউনের জেরে ডিজিটাল রেশন কার্ড প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। অনেক রেশন কার্ড আবার পোস্টাল বিভাগেও পড়ে রয়েছে। তার জেরেই রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত। এই পরিস্থিতিতে দুঃস্থ পরিবারগুলিকে অস্থায়ী রেশনকার্ড বা কুপন দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। পরিসংখ্যান বলছে. এর ফলে কেবলমাত্র কলকাতা শহরেই আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।