নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে নজরে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। প্রতিবার ভোটের সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, অনেক সময় বাহিনীকে কার্যত বসিয়ে রাখে রাজ্য় প্রশাসন। এবার কী হবে? রাজ্যের কোনও বুথে যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর থাকবে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। বিধানসভা ভোটে গ্রিন পুলিস (Green Police) ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) ব্যবহার করা যাবে না জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্য় নির্বাচন আধিকারিক সুনীল আরোরা। সূত্রের খবর তেমনই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলায় একুশের নির্বাচন ঘিরে কমিশনের তৎপরতা তুঙ্গে। মে মাসে নয়, এবার ভোট এগিয়ে আসার সম্ভাবনাও প্রবল। প্রস্তুতি কেমন? খতিয়ে দেখতে বুধবারই রাজ্য়ে চলে এসেছেন নির্বাচন কমিশনের ৭ সদস্যের ফুলবেঞ্চ। সেই দলে রয়েছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সুনীল আরোরা। এদিন জেলাশাসক (DM) ,পুলিস সুপার (SP), ADG(Law and order)-সহ মূলত জেলার প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। সূত্রের খবর, বৈঠকে  চাওয়া হয়, জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কেন কার্যকর করা হয়নি? জবাবে করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন রাজ্যের ADG (Law and order) জ্ঞানবন্ত সিং। বলেন, বহু পুলিসকর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই বকেয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার সংখ্যা ৫ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যে কতগুলি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে? সেই হিসেব চেয়েছে কমিশনের ফুলবেঞ্চ। 


আরও পড়ুন: রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের


জানা গিয়েছে, আগের নির্বাচনে যাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ভালো পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়টিও নজর এড়ায়নি কমিশনের। ফলে যেকোনও সময়ে ফের কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক ও পুলিস কমিশনারদের। সেক্ষেত্রে বদলি নয়, সরাসরি সাসপেনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন  আধিকারিক। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার মুখ্য়সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন।