নিজস্ব প্রতিবেদন : 'ধর্ষণ' নয়, জোড়াবাগানে নাবালিকাকে 'গণধর্ষণ' করা হয়েছে। দুজনেরই ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। আর তাই এবার জোড়াবাগানে ৯ বছরের নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন ও তাকে খুনের ঘটনায় যুক্ত হচ্ছে গণধর্ষণের (Gang Rape) ধারা। ধর্ষণ (Rape) থেকে গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, জোড়াবাগান (Jorabagan) কাণ্ডে এবার ৩৪ নম্বর ধারা যোগ করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নিদারুণ নৃশংসতার প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ৯ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ (Gang Rape) করে অভিযুক্ত কেয়ারটেকার রামকুমার ও মার্বেল মিস্ত্রি রণবীর তাঁতি ওরফে রঘুবীর দুজনেই। মদ্য়প অবস্থায় দুজনে মিলে এই ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত করে। আবাসনের ছাদে নাবালিকার উপর প্রথমে যৌন নির্যাতন (Sexual Assault) চালায়। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন (Murder) করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে গলা চিরে দেওয়া হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে, ছুরি নিয়ে এসেছিল কেয়ারটেকার রামকুমার। আর নাবালিকার গলায় ছুরি চালিয়েছিল রণবীর ওরফে রঘুবীর। আকণ্ঠ মদ্য়পান করে রামকুমারকে সঙ্গে নিয়ে কুকীর্তি সাধন করে রণবীর।


প্রসঙ্গত, প্রথম থেকেই পুলিসের সন্দেহ ছিল যে, জোড়াবাগান কাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে। এরপরই আজ বিহারের বেগুসরাই থেকে পুলিসের জালে ধরা পড়ে পেশায় মার্বেল মিস্ত্রি রণবীর। উল্লেখ্য, মামার বাড়িতে ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। পরদিন জোড়াবাগানের পাঁপড় গলি এলাকাতেই একটি বাড়ির ছাদ থেকে তার অর্ধ বিবস্ত্র, রক্তাক্ত গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি ধারালো ছুরি। একইসঙ্গে ছাদ থেকে মেলে নাবালিকার ৪টি ভাঙা দাঁতও।


ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাবালিকার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মেলার কথা উল্লেখ রয়েছে। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, যোনিতে 'পেনিট্রেশনে'র চিহ্ন মিলেছে। এর পাশাপাশি মৃতের পাকস্থলীতে বিরিয়ানি এবং চিপসও মিলেছে।


আরও পড়ুন, Uttarakhand বিপর্যয়ে নিখোঁজ বাংলার ৩ শ্রমিক


গরু পাচারকাণ্ডে এনামূল-সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ CBI-র