নিজস্ব প্রতিবেদন : গড়িয়াহাট জোড়া খুনে ধৃত মিঠুকে জেরা করে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত মিঠুকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে খুনের জন্য ৩ জন লোক জোগাড় করেছিল সে। ট্রেনে যাতায়াতের সূত্রেই ওই ৩ জনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তার। ওই ৩ জনেরও পুরনো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডল খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় পরিচারিকা মিঠুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, খুনের আগেরদিন অর্থাৎ শনিবার সমস্ত পরিকল্পনা করে মিঠুর বড় ছেলে ভিকি। মা-কে বলে খুন করে সে টাকা আদায় করবে। ছেলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় মা। এরপরই কাজ হাসিল করতে মিঠু-ই ৩ জন লোক জোগাড় করে। 


তারপর ঘটনার দিন রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ট্রেন ধরে ঘটনাস্থল লাগোয়া একটি স্টেশনে পৌঁছয় মিঠু। পরের ট্রেন ধরে ওই স্টেশনে পৌঁছয় ওই ৩ জন। অন্যদিকেও ভিকিও তার কাজের জায়গা থেকে আরও একজনকে জোগাড় করে। এরপরই শুরু হয় 'অপারেশন'। ভিকি সহ মোট ৫ জন চলে যায় 'অপারেশনে'। খুনের উদ্দেশে একটি ছুরিও ভিকি কিনে এনেছিল। ওদিকে মিঠু স্টেশনেই অপেক্ষা করতে থাকে। 


কাজ হওয়ার পর মাকে ফোন করে ভিকি। খুনের কথাও তখনই জানায় সে। তবে তখন সে মিঠুর সঙ্গে দেখা করেনি। খুনের পর ঘটনাস্থল থেকে মিনিট দশেকের দূরে কাজের জায়গায় ফিরে যায় সে। ফার্ন রোডে একটি জায়গায় নিরাপত্তরক্ষীর কাজ করত ভিকি। পরদিন মা মিঠুকে ফোন করে দেখা করতে ডাকে সে। তখনই নিজের রক্তমাখা জামা সহ ২টি ব্যাগ মায়ের হাতে তুলে দেয় ভিকি। তারপর-ই সে গা ঢাকা দেয়।


আরও পড়়ুন, Gariahat Murder: দিনভর ম্যারাথন জেরা পুলিসের, অবশেষে গ্রেফতার বাড়ির পরিচারিকা


এখন অভিযুক্তদের মধ্য়ে আরও ২ জনকে আটক করেছে পুলিস। জোড়া খুনের ঘটনায় পাথরপ্রতিমা গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার বুড়োবুড়ির হাট এলাকা থেকে জাহির গাজী ও বাপি দাস নামে ২ জনকে আটক করেছে লালবাজার পুলিস। যারা দুজনেই ভিকির সহযোগী ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতায় আনা হচ্ছে। যদিও ভিকি এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)