নিজস্ব প্রতিবেদন : অবশেষে চাপের মুখে নতিস্বীকার। অভিভাবকদের দাবি মেনে প্রিন্সিপালের পদ থেকে সরানো হল শর্মিলা নাথকে। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তও নেওয়া হল বৈঠকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবারের পর বুধবার ফের স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিভাবকদের প্রতিনিধি দল। তিন ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। প্রথম অবস্থায় নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কোনওমতেই প্রিন্সিপালকে সরাতে রাজি ছিল না কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রিন্সিপালকে সরানো না হলে কোনওভাবেই স্কুল খুলতে দেওয়া হবে না বলে অনড় থাকেন অভিভাবকরাও। শেষমেশ চাপের মুখে পরে প্রিন্সিপালকে সরিয়েই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল জিডি বিড়লা কর্তৃপক্ষ।


আরও পড়ুন, এখনই প্রিন্সিপালকে সরানোর কোনও প্রশ্নই নেই, স্পষ্ট জানাল জিডি বিড়লা কর্তৃপক্ষ


এদিকে সন্ধ্যায় বৈঠক শুরুর আগে থেকেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জিডি বিড়লা স্কুল চত্বর। স্কুল খোলা নিয়ে স্পষ্টই দ্বিবিভক্ত হয়ে যান অভিভাবকরা। অভিভাবকদের একাংশ দাবি জানায় অবিলম্বে স্কুল খুলতে হবে। তাঁরা অভিযোগ করেন, এভাবে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবিলম্বে স্কুলে পঠনপাঠন চালু করতে হবে। অন্যদিকে আন্দোলনকারী অভিভাবকরা তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অটল থাকেন।


বৈঠকের সময় যত গড়ায়, স্কুলের বাইরের পরিস্থিতি ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে। একটা সময় কার্যত হাতাহাতি-ই বেধে যায় দু'পক্ষের মধ্যে। এরমধ্যেই স্কুল চত্বরে উপস্থিত হয় জিডি বিড়লার একদল পড়ুয়াও। স্কুল খোলার দাবি জানাতে থাকে তারাও। একদিকে স্লোগান ওঠে, 'We want justice'। সেই স্লোগানকে ছাপিয়ে দিয়ে পাল্টা স্লোগান ওঠে, 'We love GDB'।


তবে বৈঠকের শেষে সিদ্ধান্তে 'খুশি' দুপক্ষই। একদিকে 'স্কুল খোলায় খুশি' পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের একাংশ। অন্যদিকে, তাঁদের 'দাবি মেনে' প্রিন্সিপালকে সরানোয় খুশি আন্দোলনকারী অভিভাবকরাও। তবে প্রিন্সিপালের অপসারণ মুখ খুলতে রাজি হয়নি পড়ুয়ারা।


আরও পড়ুন, জিডি বিড়লার প্রিন্সিপালকে শোকজ করল শিশুরক্ষা অধিকার কমিশন


স্কুলের ভিতর নার্সারির ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত জিডি বিড়লা স্কুল। রবিবার এক নোটিস জারি করে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ।