নিজস্ব প্রতিবেদন: জিডি বিড়লা কাণ্ডে অভিষেক রায় এবং মফিজুল নামের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪ বছরের শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা কি আদৌ সত্য? প্রশ্ন উঠল মেডিক্যাল রিপোর্টেই। এসএসকেএম সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার নির্যাতিতা শিশুর শারীরিক পরীক্ষার পর যে রিপোর্ট এসেছে তাতে শিশুর যৌনাঙ্গে কোনও ক্ষত পাওয়া যায়নি। আর এই রিপোর্টই জিডি বিড়লা কাণ্ডের তদন্তে ধন্দে ফেলেছে তদন্তকারীদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- জিডি বিড়লার প্রিন্সিপালকে শোকজ করল শিশুরক্ষা অধিকার কমিশন 


প্রথম ডাক্তারি পরীক্ষায় শিশুর যোনি ভাগের উপরে আঁচড়ের মত ক্ষত লক্ষ্য করেছিলেন ডাক্তাররা। তবে সেই ক্ষত দিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পুরোপুরি প্রমাণ করা যাবে না বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণেই দ্বিতীয় দফায় মেডিক্যাল টেস্টের সিদ্ধান্ত নেন এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা। বুধবার শিশুকে অচৈতন্য করে পরীক্ষা করার পর যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে যোনিদেশে কোনও ক্ষত পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের খবর।   


আরও পড়ুন- অপসারিত প্রিন্সিপাল, বৃহস্পতিবার থেকে খুলছে জিডি বিড়লা  


উল্লেখ্য, আজই আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে নির্যাতিতা শিশুর। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে গতকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই শিশুর। ৪ বছরের ছোট্ট মেয়ে টয়লেট করতে গিয়ে ছটফট করছে, তাই আজ গোপন জবানবন্দিতে সায় নেই নির্যাতিতার বাবার। প্রসঙ্গত, শিশুর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে হাসপাতালেই ভিডিও জবানবন্দি করার কথাও ভাবা হচ্ছে তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে। 


আরও পড়ুন- স্কুল খোলার দাবিতে দ্বিবিভক্ত অভিভাবকরা, উত্তেজনা জিডি বিড়লায়


স্কুলের বাথরুমে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৪ বছরের শিশু, এই অভিযোগের ভিত্তিতেই  ১ ডিসেম্বর সংবাদমাদ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত হন, জিডি বিড়লা স্কুলের দুই শিক্ষক অভিষেক রায় এবং মফিজুল। নির্যাতিতা শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় দুই অভিযুক্ত শিক্ষককে। তদন্তের স্বার্থে লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় স্কুলের প্রিন্সিপাল নিশিথা নাথকেও। গোটা ঘটনায় বুলেট গতিতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে লালবাজার। এরই মধ্যে নির্যাতিতা শিশুর মেডিক্যাল রিপোর্ট ধন্দ বাড়াল তদন্তাকারীদের।  
 
উল্লেখ্য, অভিভাবকদের নাছোড়বান্দা আন্দোলনের সামনে পিছু হটে কর্তৃপক্ষ ছুটিতে পাঠায় প্রধান শিক্ষিকাকে। এক সপ্তাহ পর আজই পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হয় স্কুলের গেটও।