জিডি বিড়লা স্কুলে আর যাবে না নাতনি!
`নাতনি বেঁচে আছে, ভগবানের অপার আশীর্বাদ`, ২৪ ঘণ্টাকে প্রতিক্রিয়ায় জানান নির্যাতিতা শিশুর দাদু। কী শাস্তি চান দোষীর? প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার দাদু বললেন, `আইনে বিশ্বাস করি। এমন ঘটনায় যা শাস্তি হওয়া উচিত সেটাই আশা করছি।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোন করে ডোনেশন দিয়ে নামী স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন বাড়ির মেয়েকে। কিন্তু স্কুলেই যে এমন পরিণতি ঘটবে, কল্পনা করতে পারছেন না নির্যাতিতা শিশুর দাদু। এসএসকেএম হাসপাতালে নাতনির ডাক্তারি পরীক্ষা হবে, তারপরই জানা যাবে ঠিক কী ঘটেছে নির্যাতিত শিশুর সঙ্গে। এসএসকেএম হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন দাদু।
আরও পড়ুন- জিডি বিড়লা স্কুলে ৪ বছরের ছাত্রীকে 'যৌন নির্যাতন', অভিযুক্ত পিটি টিচার
"নাতনি বেঁচে আছে, ভগবানের অপার আশীর্বাদ", ২৪ ঘণ্টাকে প্রতিক্রিয়ায় জানান নির্যাতিতা শিশুর দাদু। কী শাস্তি চান দোষীর? প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার দাদু বললেন, "আইনে বিশ্বাস করি। এমন ঘটনায় যা শাস্তি হওয়া উচিত সেটাই আশা করছি।"
এরপরও জিডি বিড়লা স্কুলে পাঠাবেন নাতনিকে? জবাবে নির্যাতিতা শিশুর দাদু জানালেন, "ও (নাতনি) বেঁচে আছে, এটাই সবথেক বড়। আর কখনও ওই স্কুলে (জিডি বিড়লা) যাবে না।" ভারাক্রান্ত এবং চিন্তিত দাদু আরও বললেন, "এত নামী স্কুল কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত। আর কারোর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটুক, কখনওই চাই না।"
আরও পড়ুন- জিডি বিড়লা স্কুলের ঘটনায় দোষীকে কড়া শাস্তির আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর
এদিকে শহর কলকাতার এই অভিজাত স্কুলে ছাত্রীর ওপর যৌন নির্যাতনের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচার হতেই, ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাকি অভিভাবকরা। স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরা। বেশিরভাগই দাবি করছেন, এত টাকা ডোনেশন নিয়ে ভর্তি করানো হয়, অথচ বাচ্চাদের এতটুকুও নিরাপত্তা নেই! যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ বারেবারেই বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের থেকে তদন্তের স্বার্থে সময় চাইছেন।